ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মায়ের মৃত্যু, ছেলেসহ আহত ২
Published: 1st, June 2025 GMT
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় সঙ্গে থাকা তার দশ বছরের ছেলে ও অপর এক নারী আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রবিবার (১ জুন) বিকেলে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের সাইংজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সূর্য রানী সরকার (৩২)। তিনি ওই গ্রামের যোগেশ সরকারের স্ত্রী।
আহতরা হলেন- সূর্য রানীর ছেলে বাঁধন (১০) ও প্রতিবেশী মায়া রানী সরকার (৪০)। আহতরা মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে কৃষক ও শিশুর মৃত্যু
তিন জেলায় পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে ছেলেকে নিয়ে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান সূর্য রানী। এসময় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ আহত হন তিন জন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সূর্য রানীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
ঢাকা/চন্দন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০
৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক
এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়।
সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
ঢাকা/নুর/বকুল