ফ্র্যাঞ্চাইজি ফোকাসে ক্লাসেন, থেমে গেল আন্তর্জাতিক অধ্যায়
Published: 2nd, June 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি ব্যাটার ও উইকেটকিপার হেনরিখ ক্লাসেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ পৃষ্ঠাটি নিজ হাতে লিখে রাখলেন। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিজেকে আরও বেশি সময় ও শক্তি দিতে চেয়ে, জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যাবে না এই আক্রমণাত্মক ব্যাটারকে।
৩৩ বছর বয়সী ক্লাসেন চলতি বছরের শুরুতেই টেস্ট ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিকেও বিদায় জানালেন। তার এই ঘোষণার পর ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার গুঞ্জন যেন বাস্তব রূপ নিলো।
বিদায়বার্তায় ক্লাসেন জানালেন, “দেশের হয়ে খেলা ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ গর্ব। তবে নিজে এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় যা সঠিক, আমি সে পথেই হাঁটছি। সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল, কিন্তু এতে আমি পুরোপুরি শান্তি খুঁজে পেয়েছি।”
আরো পড়ুন:
ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণা ম্যাক্সওয়েলের
পাকিস্তানের বাংলাদেশে আসার দিনক্ষণ চূড়ান্ত
যদিও জাতীয় দলের জার্সি তুলে রেখেছেন, তবে ব্যাট গুটিয়ে ফেলেননি। বরং আরও জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মঞ্চে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান ক্লাসেন। ইতোমধ্যেই তিনি আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে সিয়াটল অর্কাস এবং ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেড টুর্নামেন্টে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন।
সাদা বলের ক্রিকেটেই ছিল তার প্রতিভার প্রকৃত বিকাশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে ৬০ ম্যাচে ২,১৪১ রান, ৪টি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফসেঞ্চুরি—এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, তিনি ছিলেন দলের নির্ভরতার প্রতীক। টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১,০০০ রান, যেখানে প্রতিটি ইনিংসেই থাকত ক্লাসেনীয় আগ্রাসনের ছাপ।
ক্যারিয়ারে মাত্র চারটি টেস্ট খেলা এই ব্যাটার বুঝেছিলেন নিজের সীমাবদ্ধতা এবং সম্ভাবনার জায়গা। তাই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন সেই মঞ্চের জন্য, যেখানে দ্রুততা, ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং এবং চোখধাঁধানো গ্লাভস ওয়ার্কই চাহিদার কেন্দ্রবিন্দু।
ক্লাসেনের আন্তর্জাতিক অবসর হয়তো এক প্রজন্মের সমাপ্তি—তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যাটে ভর দিয়েই শুরু হচ্ছে তার দ্বিতীয় ইনিংস। যেখানে তিনি শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, বরং একজন পেশাদার পারফরমার।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র য ঞ চ ইজ
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসন সংখ্যা কমানোসহ অর্গানোগ্রামে আরো ১৮টি নতুন বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইনস্টিটিউট চালু এবং ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ল্যাবভিত্তিক বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ১৮টি বিভাগ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো—ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, পুরকৌশল বিভাগ এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো— অপরাধবিদ্যা বিভাগ।
পাশাপাশি চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এগুলোর গঠন কাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুইজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ম্যানেজার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং একজন ক্লিনার।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্রের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, একজন অতিথি অধ্যাপক, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ম্যানেজার হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার একজন।
১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, “আমরা মিটিংয়ে এগুলো সুপারিশ করেছি। অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, এমন না। একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন দরখাস্ত দেওয়া হয়, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি আরো বলেন, “ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। তারা ল্যাববেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেছেন, “অনেকগুলো সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনই না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাস হলে বিস্তারিত বলতে পারব।”
ঢাকা/এমদাদুল/রফিক