“একটা সময় আমি নিয়মিত নাটকে কাজ করতাম। সেখান থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে ওটিটিতে গিয়েছি। তখন অনেকে বলেছেন, নাটকেই তো ভালো ছিলাম। ওটিটিতে যাওয়ার কি দরকার ছিল। ওটিটিতে সফলতা পাওয়ার পর আবার সিনেমায় পথচলা শুরু করলাম। তখনও অনেকেই একই কথা বলেছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, একটা জায়গায় আমি খুব বেশিদিন আমি থাকি না। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে খুব ভালো লাগে। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ‘ইনসাফ’ সিনেমাটি করেছি।”

বুধবার রাতে ‘ইনসাফ’ সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। অনুষ্ঠান শেষে প্রকাশ করা হয় সিনেমাটির ট্রেলার ও নতুন একটি গান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনেমার নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার, নায়ক শরিফুল রাজসহ সিনেমার কলাকুশলীরা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝণ্টু, মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহীন সুমন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, আব্দুল্লাহ জহির বাবু, গীতিকবি শওকত আলী ইমনসহ আরও অনেকে।

তাসনিয়া ফারিণ আরও বলেন, “আমি নিজেকে সব সময় ভিন্ন জায়গায় নিতে চেয়েছি। এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান সিনেমা। সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে ‘ইনসাফ’ আমাকে ভিন্ন একটি জায়গা তৈরি করে দিতে সহায়তা করবে। তাই এই সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। আমরা সবাই সিনেমা মিলে অনেক শ্রম দিয়ে সিনেমাটি করেছি।’

অ্যাকশন থ্রিলার গল্পের সিনেমা ‘ইনসাফ’। এতে দানবীয় ও ভয়ংকর রূপে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। ভরপুর অ্যাকশনে হাজির হবেন শরিফুল রাজ। পোস্টার উন্মোচন যেন সেটারই আভাস দিয়েছে।

সিনেমার নায়ক শরিফুল রাজ বলেন, ‘স্বল্প সময়ে আমাদের সিনেমার শুটিং হয়েছে। দারুণ একটা টিম ছিল বলেই আমার ভালো একটা সিনেমা নিয়ে আসতে পেরেছি। বিশেষ করে মোশাররফ করিম ও তাসনিয়া ফারিণের কথা না বললেনই নয়। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধ। আশা করি সবার ঈদ ইনসাফময়।”

গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছে ইনসাফের শুটিং। এখন চলছে শেষ অংশের কাজ। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে ‘ইনসাফ’। বাংলাদেশে প্রথম হলেও ইনসাফ সঞ্জয় সমদ্দারের দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে জিৎকে নিয়ে টালিউডে ‘মানুষ’ নামের সিনেমা বানিয়েছিলেন তিনি।

সিনেমাটি প্রযোজনা করছে তিতাস কথাচিত্র। এ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। সঙ্গে রয়েছে টিওটি ফিল্মস। সিনেমাটিতে শরিফুল রাজের সঙ্গে অভিনয় করেছেন নাটকের অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। এই ছবির মাধ্যমে পুরোপুরি কমার্শিয়াল ছবির নায়িকা হয়ে আসছেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত সন য় ফ র ণ ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ