সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৬ দিন পর পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 5th, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর পরিত্যক্ত একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের ভয়নগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম রাশিদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।
পুলিশ, পরিবার ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৮টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘরেই ছিলেন রাশিদুল। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। কথা শেষ করেই তিনি পাশের এলাকা ধামরাইকান্দি বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। তাঁকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। এরই মধ্যে আজ দুপুরে দুর্গন্ধের সূত্র ধরে এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে রাশিদুলের গলিত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, অতিমাত্রায় পচন ধরায় লাশটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা ও পুলিশের তদন্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরায় সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি রাইফেল ও গুলি উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর রাতে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানায় সেনাবাহিনী।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উত্তরা এলাকার বিভিন্ন সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে একটি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল, শটগানের ১৮টি কার্তুজ ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রাপ্ত অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাজধানীর তুরাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।