সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর পরিত্যক্ত একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের ভয়নগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম রাশিদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।

পুলিশ, পরিবার ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৮টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘরেই ছিলেন রাশিদুল। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। কথা শেষ করেই তিনি পাশের এলাকা ধামরাইকান্দি বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। তাঁকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। এরই মধ্যে আজ দুপুরে দুর্গন্ধের সূত্র ধরে এক প্রতিবেশীর বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে রাশিদুলের গলিত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, অতিমাত্রায় পচন ধরায় লাশটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা ও পুলিশের তদন্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ