নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনা করে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। দলটি বলেছে, অধিকাংশ দলের মতামত উপেক্ষা করে একটি দলকে সন্তুষ্ট করতে এপ্রিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
রোববার (৮ জুন) বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
এই বিবৃতিতে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এক পর্যায়ে তিনি আগামী বছর এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন। আমাদের দল বাসদসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং দেশের প্রায় ৫০টির অধিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টা তার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকার এবং জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বারবার বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো যখন চাইবে তখনই নির্বাচন হবে। অথচ তিনি দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে এককভাবে এপ্রিল মাসে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করলেন।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি, এটা অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। ১০ মাসের ঘটনা পরম্পরায় কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কিনা সে সন্দেহ খারিজ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে আবহাওয়া পরিস্থিতি, এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা, ফেব্রুয়ারি-মার্চ ১ মাস রোজা, তীব্র গরম, বোরো ধান কাটার মৌসুম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম না টেনে বাড়তে দেওয়া ইত্যাদি নানা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে কি না সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতেই নির্বাচন হওয়া যথার্থ ছিল বলে অধিকাংশ দল ও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের যেনতেন একটা সময় যেভাবে ঘোষণা করা হয়েছে তাতে ঐ সময়ে নির্বাচন হয়তো সম্ভব হবে না জেনেই করা হয়েছে যাতে ইউনুস সরকারের ক্ষমতা বা মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এতে তার নিজের ও দেশি-বিদেশি লুটেরার স্বার্থ হাসিল করা সহজ হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ক দ ড স ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।