কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের পিটিআই মসজিদ মাঠে প্রথম এবং কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটী গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

স্ত্রীর জানাজায় স্মৃতিচারণ করে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় কাদের সিদ্দিকীকে। এ সময় জানাজায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের চোখও ঝাপসা হয়ে আসে।

এরআগে শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বঙ্গবীর পত্নী। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

রোববার সকালে নাসরিন সিদ্দিকীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইলের ‘সিদ্দিকী কটেজে’ আনা হয়। ওই সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর রাজনৈতিক সহকর্মী, সমর্থক, অনুসারী ও পরিবারের সদস্যরা এক নজর দেখার জন্য বাসায় ভিড় করেন। জানাজায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ
সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকা বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির আহসান হাবীব মাসুদ প্রমুখ।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২২ মে নাসরিন সিদ্দিকীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে স্কয়ার হাসপাতালে নিউরো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ২৩ মে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। ২২ মে থেকে তিনি অচেতন ছিলেন। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। শনিবার দিবাগত রাত ১১টায় নাসরিন সিদ্দিকী মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় তার পাশে স্বামী কাদের সিদ্দিকীসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। নাসরিন কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যা চালিয়েছেন বাকপ্রতিবন্ধী এক বাবা। আজ সোমবার ভোরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষক্রিয়ায় মেয়ে মনিরা (৮) ও সানজু আল ফাতেহা (৫) মারা গেলেও বেঁচে গেছেন বাবা মনু মিয়া। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় শিশুদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে ছিলেন।

স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের অসচ্ছলতা ও অভাব অনটনের কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনু মিয়া।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া। তার দুই মেয়েও বাক প্রতিবন্ধী। একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী হওয়া এবং মনু মিয়া দীর্ঘদিন কাজকর্ম করতে না পেরে অভাব-অনটনে দিনানিপাত করছিলেন। শারীরিক অবস্থা ও দারিদ্রতা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, সকাল ৮টার দিকে মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়। বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। আমরা পুলিশের কাছে দুইজনের লাশ হস্তান্তর করেছি।

তিতাস থানার ওসি মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বাক প্রতিবন্ধী, দারিদ্র্যতা ও পারিবারিক হতাশা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত দুই মেয়ের লাশ থানায় এনেছি, তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ