ঝালকাঠি হরচন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘আয় আরেকটিবার আয়রে সখা/ এই মিলনমেলায় হোক আবার দেখা/ পুরোনো সেই স্মৃতির পাতায়/ লিখব মোরা নতুন কথা’—এমন সূচনা সংগীতের মধ্য দিয়ে আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয়টির মাঠে এই আয়োজন শুরু হয়।

অনুষ্ঠানটি ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর পরিচিত মুখগুলো কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। সবাই যেন খুঁজে ফিরছিলেন পুরোনো সব স্মৃতি। গানে, আড্ডায়, স্মৃতিচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় হরচন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বেলা ১১টার দিকে আকাশে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমার প্রত্যাশা, একটি বাসযোগ্য, সুস্থ, সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে তোমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

প্রধান শিক্ষক মো.

নুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা সততা ও শৃঙ্খলা দিয়ে জয় করেছে পুরো দেশ। তিনি আশা করেন, শিক্ষার্থীরা এই মূল্যবোধের চর্চা অব্যাহত রাখবে এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করবে।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ স্কুলের বয়স প্রায় ৭৬ বছর। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজানো হয় পুরো স্কুল। এতে অংশ নেন প্রায় ৯০০ প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী। আলোচনা সভা, স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, স্মৃতিচারণা, খেলাধুলা, র‍্যাফল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয় পুরো অনুষ্ঠান।

পুনর্মিলনীতে আসা সাবেক শিক্ষার্থী জাফরিন জেরিন বলেন, ‘সহপাঠী ও সিনিয়র আপুদের পেয়ে অন্য রকম একটি দিন কাটল। মনে হয়েছে, আবারও ছাত্রজীবনে ফিরে গেছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ