১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে গেছেন জেলেরা। গভীর সাগরে যাওয়া বড় বড় মাছ ধরা ট্রলারগুলো এখনো ঘাটে ফেরেনি। তবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডিঙ্গি নৌকা ও ছোট ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়া অনেকেই ফিরেছেন কাঙ্খিত মাছ নিয়ে। 

তবে ট্রলার নিয়ে না ফিরলেও গভীর সাগরে অবস্থানরত ট্রলারগুলোতে মাছ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছে আড়ৎদারেরা। বড় ট্রলারগুলো ঘাটে না ফেরায় সরবারহের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেশ চড়া। 

সরেজিমনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কুয়াকাটার পাইকারী মৎস্য আড়ৎ, মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণকেন্দ্র, গলাচিপার পানপট্টি পাইকারী মৎস্য আড়ৎ এবং রাঙ্গাবালি উপজেলার পাইকারি মৎস্য আড়ৎ ঘাটে ফিরেছে ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলারগুলো। জেলে, আড়ৎদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের হাক ডাকে মুখরিত হয়েছে উঠেছে এসব পাইকারী বাজারগুলো। 

এসব বাজারে ইলিশসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা কেজি দরে। ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি করে। 

দীর্ঘদিন শুনসান নীরব থাকা এসব বাজারগুলো প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে আসা এবং আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ায় উচ্ছ্বসিত জেলেরা।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ট্রলার আল্লাহর দোয়া-৪ এর জেলে আবুল কালাম বলেন, “আমরা রাতে সাগরে জাল ফেলার পরই ইলিশসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু মাছ ধরা পড়ে। তাই এখানে বিক্রির জন্য মাছ নিয়ে এসেছি। দামও বেশ ভালো পেয়েছি। এভাবে মাছ ধরা পড়লে আমরা পিছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারব।” 

লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের জেলে কবির মিয়া বলেন, “আমরা মূলত ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে সন্ধ্যায় মাছ শিকারে যাই করে দেয় এবং সকালে ফিরে আসি। গতকাল অবরোধের পর পরই সাগরে নেমেছি। প্রথম দিন আশানুরূপ মাছও পেয়েছি। এভাবে আল্লাহ মাছ দিলে আমরা এ পেশায় টিকে থাকতে পারব।”

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “উপকূলের জেলেরা ৫৮ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন সুষ্ঠু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি সবাই মাছ পাবে। অনেক জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকেও ইলিশ ধরা পড়তে পারে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

মিলছে আশানুরূপ ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ, কুয়কাটায় ঘাটজুড়ে ব্যস্ততা

১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে গেছেন জেলেরা। গভীর সাগরে যাওয়া বড় বড় মাছ ধরা ট্রলারগুলো এখনো ঘাটে ফেরেনি। তবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডিঙ্গি নৌকা ও ছোট ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়া অনেকেই ফিরেছেন কাঙ্খিত মাছ নিয়ে। 

তবে ট্রলার নিয়ে না ফিরলেও গভীর সাগরে অবস্থানরত ট্রলারগুলোতে মাছ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছে আড়ৎদারেরা। বড় ট্রলারগুলো ঘাটে না ফেরায় সরবারহের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেশ চড়া। 

সরেজিমনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কুয়াকাটার পাইকারী মৎস্য আড়ৎ, মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণকেন্দ্র, গলাচিপার পানপট্টি পাইকারী মৎস্য আড়ৎ এবং রাঙ্গাবালি উপজেলার পাইকারি মৎস্য আড়ৎ ঘাটে ফিরেছে ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলারগুলো। জেলে, আড়ৎদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের হাক ডাকে মুখরিত হয়েছে উঠেছে এসব পাইকারী বাজারগুলো। 

এসব বাজারে ইলিশসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা কেজি দরে। ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি করে। 

দীর্ঘদিন শুনসান নীরব থাকা এসব বাজারগুলো প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে আসা এবং আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ায় উচ্ছ্বসিত জেলেরা।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ট্রলার আল্লাহর দোয়া-৪ এর জেলে আবুল কালাম বলেন, “আমরা রাতে সাগরে জাল ফেলার পরই ইলিশসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু মাছ ধরা পড়ে। তাই এখানে বিক্রির জন্য মাছ নিয়ে এসেছি। দামও বেশ ভালো পেয়েছি। এভাবে মাছ ধরা পড়লে আমরা পিছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারব।” 

লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের জেলে কবির মিয়া বলেন, “আমরা মূলত ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে সন্ধ্যায় মাছ শিকারে যাই করে দেয় এবং সকালে ফিরে আসি। গতকাল অবরোধের পর পরই সাগরে নেমেছি। প্রথম দিন আশানুরূপ মাছও পেয়েছি। এভাবে আল্লাহ মাছ দিলে আমরা এ পেশায় টিকে থাকতে পারব।”

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “উপকূলের জেলেরা ৫৮ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন সুষ্ঠু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি সবাই মাছ পাবে। অনেক জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকেও ইলিশ ধরা পড়তে পারে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ