রাজধানীর ধানমন্ডিতে মো. রাফিজ ইসলাম (২৫) নামের এক প্রাইভেট কারচালক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। গাড়ি পরিষ্কার করতে পানির লাইনের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার ধানমন্ডি ১৯ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাফিজ ওই বাড়ির একজনের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন এবং ওই বাড়িতেই থাকতেন।

রাফিজকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন সহকর্মী আল আমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাফিজ গাড়ি পরিষ্কার করার জন্য পানির লাইনের সুইচ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।

অচেতন অবস্থায় রাফিজকে উদ্ধার করে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মো.

ফারুক।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মৃতদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ধানমন্ডি থানায় জানানো হয়েছে।

রাফিজের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার হাসানগঞ্জ গ্রামে। বাবার নাম আমির হোসেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।

কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।

সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ