দক্ষিণের জেলা বরগুনাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দুই–ই বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এই জেলায় নতুন করে ৬৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৪ জন। এ নিয়ে এই জেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৬।

গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৫৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১২৪ জনই বরিশাল বিভাগের। তার মধ্যে শুধু বরগুনায় ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন।

সর্বশেষ হিসাব বলছে, সারা দেশে গতকাল ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনায় ৪ জন, বাকি একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। ডেঙ্গুতে এ বছর সারা দেশে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে।

প্রতিবছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। তারপর তা অন্যান্য ছোট শহর বা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এ বছর মে মাস থেকে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ বছর সারা দেশের ৫ হাজার ৫৭০ জন ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে শুধু বরিশাল বিভাগের রোগী ২ হাজার ৪৮৮ জন। অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ রোগী এই বিভাগের ছয় জেলার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল বরগুনায় ১৯৩ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল ব ভ গ র বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ