একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯৭ জনের মধ্যে ৭৪ জনই বরগুনার
Published: 14th, June 2025 GMT
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় একদিনে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত ৯৭ জনের মধ্যে ৭৪ জনই বরগুনার জেলার বাসিন্দা।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টার আগে ২৪ ঘণ্টায় তারা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মারা যাওয়া সাত জনের পাঁচ জনই বরগুনা জেলার। ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। গুরুত্বপূর্ণ অশিংজনদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম চলছে বরগুনায়।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই হাজার ৫৮৩ জন। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৪১০ জন।
একই সময়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ২৩৮ রোগী। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালে ৭৪ জন, বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ২১ জন এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন রোগী ভর্তি হয়েছে।
তবে ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠী জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে কেউ ভর্তি হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৩ জন।
বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, “ডেঙ্গু রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। রোগী রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।”
ঢাকা/পলাশ/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল সরক র বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক