প্রবাসীর ভবন উদ্ধোধন করতে এলেন সৌদি নাগরিক
Published: 14th, June 2025 GMT
মাদারীপুর সদর উপজেলার মাদ্রা গ্রামের সুমন মিয়া ২০০১ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে যান কাজের সন্ধানে। একপর্যায়ে সেখানে শুরু করেন ঠিকাদারি কাজ। এরপর সৌদি আরবের নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবির সঙ্গে পরিচয় এবং পরে বন্ধুত্ব। বাড়তে থাকে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা।
প্রবাসী সুমন দেশে এসে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকায় জমি কিনে সাততলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ শুরু করেন। পরে আবারো জীবিকার তাগিদে যান সৌদি আরব। বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি জানতে বাংলাদেশে আসতে চান সৌদি আরবের নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি। চাওয়া অনুযায়ী স্ত্রীকে নিয়ে হাজির বাংলাদেশে। বিষয়টিতে অবাক করেছে সুমনকেও। ভালোবাসার টানে এভাবে অন্যদেশে ভবন উদ্বোধনে স্ত্রীকে নিয়ে ছুটে আসায় খুশি স্থানীয়রাও।
জানা গেছে, গত বুধবার হুমুদ দায়ফাল্লা সস্ত্রীক আসেন বাংলাদেশে। পরে ওঠেন মাদারীপুরের শহরের একটি আসাবিক হোটেলে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অটোরিকশা চড়ে স্ত্রী সাহাব মোহাম্মদ গ্রেইনিকে নিয়ে মাদারীপুর সদরের কুকরাইল এলাকার বন্ধু সুমন মিয়ার বাড়িতে আসেন তিনি। পরে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বন্ধু সুমনের বহুতল ভবনটি।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে তারা জানান ভালো লাগার কথা। অতিথি আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়ে আবারো আসতে চান বাংলাদেশে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষক কাজী ওবায়দুর রহমান বলেন, “ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল খুবই চমৎকার। এতো সুন্দর আয়োজন মুগ্ধ করেছে।”
সৌদি নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি, তাও আবার স্ত্রীকে নিয়ে। এখানকার মানুষের অ্যাপায়নে আমি মুগ্ধ, আমার স্ত্রীও খুশি। আগামীতে আবারো বেড়াতে আসব বাংলাদেশে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এতটা অতিথি পরায়ণ বুঝতে পারিনি। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে যত্ন করছে, আমি খুবই আনন্দিত। বিষয়টি নিজ দেশে ফিরে অন্যদের কাছেও বলব, যাতে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে আসে।”
প্রবাসী সুমন মিয়া বলেন, “ভালো সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব থাকার কারণেই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসেন। এতে আমি খুব খুশি। বিষয়টিতে আমাকে অবাকও করেছে। কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের।”
ঢাকা/বেলাল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন