মাদারীপুর সদর উপজেলার মাদ্রা গ্রামের সুমন মিয়া ২০০১ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে যান কাজের সন্ধানে। একপর্যায়ে সেখানে শুরু করেন ঠিকাদারি কাজ। এরপর সৌদি আরবের নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবির সঙ্গে পরিচয় এবং পরে বন্ধুত্ব। বাড়তে থাকে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা।

প্রবাসী সুমন দেশে এসে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকায় জমি কিনে সাততলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ শুরু করেন। পরে আবারো জীবিকার তাগিদে যান সৌদি আরব। বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি জানতে বাংলাদেশে আসতে চান সৌদি আরবের নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি। চাওয়া অনুযায়ী স্ত্রীকে নিয়ে হাজির বাংলাদেশে। বিষয়টিতে অবাক করেছে সুমনকেও। ভালোবাসার টানে এভাবে অন্যদেশে ভবন উদ্বোধনে স্ত্রীকে নিয়ে ছুটে আসায় খুশি স্থানীয়রাও।

জানা গেছে, গত বুধবার হুমুদ দায়ফাল্লা সস্ত্রীক আসেন বাংলাদেশে। পরে ওঠেন মাদারীপুরের শহরের একটি আসাবিক হোটেলে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অটোরিকশা চড়ে স্ত্রী সাহাব মোহাম্মদ গ্রেইনিকে নিয়ে মাদারীপুর সদরের কুকরাইল এলাকার বন্ধু সুমন মিয়ার বাড়িতে আসেন তিনি। পরে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বন্ধু সুমনের বহুতল ভবনটি।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে তারা জানান ভালো লাগার কথা। অতিথি আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়ে আবারো আসতে চান বাংলাদেশে।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষক কাজী ওবায়দুর রহমান বলেন, “ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল খুবই চমৎকার। এতো সুন্দর আয়োজন মুগ্ধ করেছে।”

সৌদি নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি, তাও আবার স্ত্রীকে নিয়ে। এখানকার মানুষের অ্যাপায়নে আমি মুগ্ধ, আমার স্ত্রীও খুশি। আগামীতে আবারো বেড়াতে আসব বাংলাদেশে।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এতটা অতিথি পরায়ণ বুঝতে পারিনি। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে যত্ন করছে, আমি খুবই আনন্দিত। বিষয়টি নিজ দেশে ফিরে অন্যদের কাছেও বলব, যাতে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে আসে।”

প্রবাসী সুমন মিয়া বলেন, “ভালো সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব থাকার কারণেই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসেন। এতে আমি খুব খুশি। বিষয়টিতে আমাকে অবাকও করেছে। কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের।”

ঢাকা/বেলাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন

ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।    

কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।

এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।  

সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই