সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গভীর রাতে ধলাই নদ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ও পাথর নিতে আসা চারটি নৌকা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর থেকে পাথর চুরি ঠেকাতে সোচ্চার হন এলাকাবাসী। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ধলাই সেতু এলাকা থেকে নৌকাগুলো আটক করে পুলিশে দেয়।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সাদা পাথরসহ আশপাশের এলাকা থেকে বালু ও পাথর লুটপাট চলছে। লুটপাট করা পাথর ও বালু পরিবহন করতে সুনামগঞ্জ থেকে নদীপথে বড় বড় স্টিল নৌকা কোম্পানীগঞ্জে যাচ্ছে। এসব কাজে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকজন জড়িত থাকায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে স্থানীয় সচেতন লোকজন অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আটক করা নৌকার মালিকদের পাওয়া যায়নি। নৌকাগুলোতে কিছু বালু ছিল। নৌকাগুলো বর্তমানে পুলিশের জিম্মায় আছে।

এদিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধলাই নদে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৩৮টি নৌকা ধ্বংস করে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুননাহার। এতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ