রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 16th, June 2025 GMT
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস (শাহজাদপুর উপজেলার বুড়ি পোতাজিয়া মৌজা) পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে স্থানীয় শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
পরে উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় শাহজাদপুর শহর থেকে প্রায় ৫ কি.
আরো পড়ুন:
৩৩ জেলায় তাপপ্রবাহ, আরো গরম বাড়ার পূর্বাভাস
টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস
পরে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আপনাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিটি একটি যৌক্তিক দাবি। স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়। একনেকে আপনাদের বিলটি ওঠেছিল, কারো দ্বিমত নেই। আমরা শুধু জায়গা দেখতে চেয়েছিলাম। জায়গাটা কেমন, কতটুকু।”
বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে তিনি বলেন, “৫০০ কোটি কম না বেশি সেটা বড় না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তো বাজেট পাচ্ছেই না।”
তিনি আরো বলেন, “সিরাজগঞ্জকে মানুষ চেনে যমুনা পাড়ের শহর হিসেবে, তাঁত শিল্পের উৎপাদনের স্থান হিসেবে। একইসঙ্গে যেন সিরাজগঞ্জকে মানুষ চেনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নাম শুনলেই একটি ক্যাবিক ক্যাবিক অনুভূতি হয়।”
এ সময় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. কাইয়ুম আরা বেগম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. ফিরোজ আহমেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।