খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলকে অপসারণ করা হয়েছে। তার জায়গায় উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার পুষ্পেন্দ দাসকে এই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১৬ জুন) খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম।

অপসারণ করা পাভেল রাজনীতি নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা। 

আরো পড়ুন:

খুলনায় ২ নারীর করোনা শনাক্ত, একজন খুমেকে ভর্তি  

‘জুলাই-বিপ্লবের পরে এখন আত্মশুদ্ধির সময় এসেছে’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল। বিভিন্ন অনিয়ম ও কর্মস্থলে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিতির কারণে ইউনিয়নবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হন। এসব কারণে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা পাভেলকে অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাভেল বারাকপুর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান ও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম গাজী জাকির হোসেনের ভাইপো। তিনি লাখোয়াটি গ্রামের আলোচিত শেখ আনছার আলী হত্যা মামলার আসামি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

গত ২১ অক্টোবর রাতে রাজধানী ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে পল্টন থানা পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। পরেরদিন পল্টন থানা পুলিশ একটি পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে ওই মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত হন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে