গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ৩ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত–উল ফরহাদ সমকালকে বলেন, জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। কৌশিক হোসেন তাপস মামলায় ৯ নম্বর আসামি। এই মামলায় উত্তরা এলাকা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয় পুলিশ। 


এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে উত্তরার আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নেন ভুক্তভোগী। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ এজাহারভুক্ত আসামিরা ব্যাপক দাঙ্গা–হাঙ্গামা সৃষ্টি, অতর্কিত হামলা, মারধর এবং গুলি করেন। তখন আসামিদের ছোড়া গুলি ইশতিয়াক মাহমুদের পেটে, পিঠে, হাতে ও মাথায় লাগে। এভারকেয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে গুলি বের করা হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ