ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী কিশোরী, দোষীকে আড়ালের চেষ্টা
Published: 19th, June 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে ১৬ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে মারধর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান (৫০)-এর বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীটি সহজ-সরল প্রকৃতির। তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত মান্নান বিভিন্ন সময়ে তাকে হয়রানি করে আসছিল।
একপর্যায়ে মারধর করে ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। বিষয়টি প্রথমে পরিবার গোপন রাখলেও শারীরিক পরিবর্তনের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মেম্বারসহ গ্রাম্য কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তারা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এতে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী রাবেয়া খানম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “একজন প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে এমন পাশবিকতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অপরাধীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/হৃদয়/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ মামুন (২৪)। তিনি উপজেলার ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে। আজ শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটে। নিহত মামুন ওমান প্রবাসী ছিলেন, তবে এক বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ ফাহিম (৩০)। তিনি একই এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাহিম একটি অপহরণ মামলার প্রধান আসামি। গত বুধবার পটিয়ার মুন্সেফ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আবছারকে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি হয়। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়ে ফাহিমের সঙ্গে কথা বলছিলেন মামুন। এ সময় ফাহিমকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এসব নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে মামুনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মামুনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
জানতে চাইলে পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে মামুনকে ছুরিকাঘাত করেছেন ফাহিম। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।