ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিতে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে আবার স্থগিত
Published: 20th, June 2025 GMT
ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের ‘ব্যক্তিগত খেসারত’ বর্ণনা করতে গিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির কারণে তাঁর ছেলের বিয়ের আয়োজন দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করতে হয়েছে।
আর এমন কথা বলে ইসরায়েলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণের সোরোকা হাসপাতালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকজন আহত হন। এই ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতালটির সামনে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন নেতানিয়াহু।
সাক্ষাৎকারে যুদ্ধের ব্যক্তিগত খেসারত নিয়ে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে এ যুদ্ধে খেসারত দিচ্ছি। আর আমার পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়।’
আরও পড়ুন‘বলে এক, করে আরেক’: ইরান ইস্যুতে ট্রাম্প শেষমেশ কী করবেন১ ঘণ্টা আগেনেতানিয়াহু বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির কারণে আমার ছেলে আভনার দ্বিতীয়বারের মতো তার বিয়ের আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এটি তার বাগ্দত্তার জন্যও একটি ব্যক্তিগত খেসারত। আর আমি বলতে চাই, আমার প্রিয় স্ত্রী একজন বীর। সে–ও এই যুদ্ধের একটি ব্যক্তিগত খেসারত দিচ্ছে।’
আভনার নেতানিয়াহুর বিয়ে প্রথমে নির্ধারিত হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তখন বিয়ের আয়োজন স্থগিত করা হয়। এরপর নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২০২৫ সালের ১৬ জুন। ১৩ জুন ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের আয়োজনটি দ্বিতীয় দফায় স্থগিত করা হয়েছে।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের ‘ব্যক্তিগত খেসারত’ নিয়ে নেতানিয়াহু বক্তব্যে কিছু ইসরায়েলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ দিলে নরক নেমে আসবে: ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের পার্লামেন্ট সদস্য গিলাদ কারিভ এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ইসরায়েলে এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের এখন আর কোনো দিন বিয়ের আনন্দ উদ্যাপন করার সুযোগ হবে না, যা একসময় হওয়ার কথা ছিল।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জিম্মি থাকা এক ইসরায়েলির বাবা ইহুদা কোহেন বলেন, তাঁর ছেলের বিয়ে করা তো দূরের কথা, নিশ্বাসও নিতে পারছে না। সে দিনের আলো দেখতে পারছে না। গত ২০ মাসের বেশি সময় ধরে সে মৃত্যুর মুখোমুখি অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুনইরান নিয়ে সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে : ট্রাম্প১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনট্রাম্প কেন এই সময়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আপ্যায়ন করলেন১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
বনানীতে গুলিবিদ্ধ সেই হাসপাতালকর্মীর মৃত্যু
রাজধানীর বনানীতে গুলিতে আহত হওয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এক সাবেক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত জামান হোসেন (৪০) বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন এবং একসময় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংগঠনের (অফিস ক্লাব) সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জামান হোসেনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বনানী থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
জামানের বড় ভাই সালাউদ্দিন জানান, গত শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে বনানী থানাধীন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির অফিস ক্লাবের সামনে চা খেতে যান জামান। এ সময় হঠাৎ মুখোশধারী দুই দুর্বৃত্ত দূর থেকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
জামানের ডান চোখের পাশে গুলি লাগে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহত জামান হোসেন মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়।