হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি পরিচালক, প্রযোজক এবং ব্যবসায়ী। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত টিভি ধারাবাহিকে ‘ফ্রেন্ডস’ এর র্যা চেল গ্রিন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান। এই চরিত্রটির জন্য তিনি এমি, গোল্ডেন গ্লোব ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেছেন। কিন্তু এই চেনা অ্যানিস্টন এবার নিজেকে আবিষ্কার করতে চাইছেন ব্রডওয়ের মঞ্চে।

 সম্প্রতি ‘পিপল’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানালেন, তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত এক স্বপ্নের কথা। ৫৬ বছর বয়সী এই মার্কিন অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি অবশ্যই একটি ব্রডওয়ে নাটকে অভিনয় করতে চাই। এটা আমার ‘বাকেট লিস্টে’ রয়েছে। ব্রডওয়ের মঞ্চে অভিনয় জেনিফারের শুধু ইচ্ছাই নয়, বাস্তবায়নের জন্য খুঁজছেন সঠিক সময় আর উপযুক্ত গল্প। তিনি বলেন, ‘আমি এটা করতে চাই, করতেই হবে। শুধু একটু সময় দরকার। আর প্রয়োজন সঠিক গল্প।’

 জানা গেছে, জেনিফারের এই ব্রডওয়ে-প্রেম আসলে একেবারে নতুন নয়। বহু আগে, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, তিনি অভিনয় করেছিলেন অফ-ব্রডওয়ের মঞ্চে। তারপর টেলিভিশন সিরিজ, সিনেমা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি– সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন গ্ল্যামার ও প্রতিভার প্রতীক। তবুও সেই পুরোনো প্রেম, ব্রডওয়ের প্রতি টান আজও রয়ে গেছে তাঁর হৃদয়ে। জেনিফারের অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ‘লেপ্রেকন’ নামে একটি হরর কমেডি সিনেমা দিয়ে। এরপর ‘উই আর দ্য মিলার্স’, ‘মার্ডার মিস্ট্রি’ থেকে শুরু করে অ্যাপল টিভি প্লাসের আলোচিত সিরিজ ‘দ্য মর্নিং শো’ প্রতিটি কাজেই তিনি নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন নতুনভাবে। আগামী সেপ্টেম্বরে ‘দ্য মর্নিং শো’র চতুর্থ সিজন মুক্তি পাবে। এই সময়টাতে জেনিফারের জীবন কেবল কর্মজীবনের ব্যস্ততায় সীমা নেই। তিনি বলেন, ‘যদি সারাক্ষণ কাজ করি, তাহলে জীবনের অন্য অভিজ্ঞতাগুলো কীভাবে আসবে? আমার এখন দরকার, একদিন পুরো ফাঁকা সূচি–যেখানে কিছুই করতে হবে না। সেই দিনটা ধীরে ধীরে নিজেই গড়ে উঠবে।’

এই ব্যস্ততার মধ্যেই পুরোনো সম্পর্কের গল্পও ঘুরে ফিরে আসছে। অনেক আগে, ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সম্পর্কের আগেই, জেনিফার প্রেমে পড়েছিলেন ড্যানিয়েল ম্যাকডোনাল্ড নামে এক মঞ্চ অভিনেতার। ব্রডওয়েতে অভিনয়ের স্বপ্ন ছিল তাদের দু’জনেরই। কিন্তু ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজে র্যারচেল চরিত্র পেয়ে সেই স্বপ্ন থেকে সরে যেতে হয় জেনিফারকে। আজ এত বছর পর সেই থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে জেনিফারের মনে। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি এখনই সময়। হয়তো একটু সময় নিতে হবে, হয়তো একটু থামতে হবে– কিন্তু আমি ব্রডওয়েতে যাবই।’ হয়তো জেনিফারের এই প্রত্যাবর্তন হবে শুধু একটি মঞ্চে পা রাখা নয়– একজন শিল্পীর নিজের শেকড়ে ফেরা, নিজের প্রথম ভালোবাসার কাছে ফিরে যাওয়া। আর আমরাও অপেক্ষায় থাকব– র্যা চেল গ্রিন নয়; বরং থিয়েটারের এক নতুন নায়িকা হয়ে কবে জেনিফার অ্যানিস্টন তালি কুড়াবেন সেই মঞ্চের আলোয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ রিয়াজ (২৯) নামে এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মোকশাইল গ্রামের আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারি যে, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাসার সামনের পাকা রাস্তার ওপর রিয়াজ নামে ওই ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিয়াজ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে লুঙ্গির ভাঁজ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ