উপভোগ
শুয়ে শুয়ে
সামনের ফ্যাটফ্যাটা
দেয়াল ভাল্লাগে না,
জানলামুখী হই
পরিচিত চাদর
অপরিচিত করি
ছাই ফেলে ফেলে
আর অজগরের মতো
ছুটে যায় দ্রুতযান
শব্দ দিয়ে
দৃশ্য ধরি তার
চোখ ফুঁড়ে
বেরিয়ে যায়
সুদীর্ঘ পিঁপড়ার সারি,
বৃষ্টিরে লাগে
মামুলি তরঙ্গের স্তূপ
একা খুব
কল্পনা করি
ভয় ও ভালোবাসা
ভাবি যাক—
যা কিছু পাখি
প্রেম যতখানি
আঁকা যায়
জানলায়,
শুয়ে শুয়ে।
ফাল্গুনী রুটিনআকাশ মেঘ মেঘ
ঝরনা ফোন ধরল না
সঙ্গ, সংজ্ঞা, সফর, সম্পর্ক, সড়ক
কিছুই সেলাইহীন হলো না।
আত্মহত্যা নিয়ে এতবার ভেবেছি,
সেখানে আর থ মেরে থাকা যায় না
একঘেয়ে লাগে, মেঘ মেঘ লাগে
ঝরনা ফোনটা ধরবে না
কবিতাটা আগাবে না অভ্যস্ত গতিতে
শুধু একঘেয়ে মেঘ মেঘ
থ মেরে থ বাঁচিয়ে
অথই জলাধার জীবন
জাপটে ওই
থাকাথাকি।
ইন্টারোগেশনতোমরা—নামহীন, দামহীন
যথেষ্ট কামহীন বেচারারা
বাংলার বিরাট বিস্তীর্ণ
লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানে
অলীক স্বপ্নের দীর্ঘ ধ্যানে
আজ এবং আগামীকাল
এই গাঢ় সন্দেহের সাগরে
ডুব দাও ডোবানোর আগে
বলো—ইউ আর টায়ার্ড।
বহুমুখীওইখানে, সুরে, বারান্দায় আমি
পেঁপের পাতার মতো বহু দিকে
তীক্ষ্ণ আগ্রহে চলে যেতে যেতে
চোখ খুলে যায় অসুখে অথবা
আরও যত প্রতিশব্দ আবিষ্কার
করা গেছে তার, এই ধ্বংস অব্দি।
ওইখানে, দূরে, সারিন্দায় আমি
বেজে চলছি, ফেরারি আগ্রহে.
আমারে ধরো আমি দুর্বল
হাতে–পায়ে ধরা নয়
এই ধরা তুমি বোঝো।
বোঝার মতো ভারী, হৃদয়;
দেখো সে–ও এক গ্রাম
গ্রাম মানেই কি পাখি?
তেমন জরুরি নয় কিন্তু; তবু
কান পাতা যেতে পারে ভিতরে
এমনকি বাহিরে বোতাম খোলা
অথবা পুরাতন সেলাইয়ের ফোকর
ভরাট রেখেও দেখা যেতে পারে
কোথাও কাকলি লুকিয়ে আছে কি না।
দেখতে চোখ দরকার, আদতে দরকার কী!
এতবার লিখি, আঁকি, দাগাই, জাগাই
মনে মনে; মনে হয় ভালোবাসি বলা হলো না
হয়ে গেলে বিপদ কি না, কে জানে
যারা জানে, খুঁজলে নিশ্চয়ই জানা যেত।
আবার খোঁজ, চিরকাল এই স্বতঃস্ফূর্ত উপাসনা
উপলব্ধির পর ক্লান্ত লাগে, তীব্র আহত
আমারে ধরো, হাতে–পায়ে ধরা নয়
হৃদয়, পাখি-পাথর সবকিছু ছাড়িয়ে
দেখো সে এক প্রবল গ্রাম, শীতকাতর, নরম।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গুগল পে-তে কীভাবে আর্থিক লেনদেন করবেন
দেশে চালু হয়েছে আর্থিক লেনদেনের নতুন মাধ্যম ‘গুগল পে’। গুগলের রয়েছে একটি ডিজিটাল মানিব্যাগ যা গুগল ওয়ালেট নামে পরিচিত। এই ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে সহজে লেনদেন করা যায়। একটি স্মার্টফোন আর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল পে-এর ব্যবহার পদ্ধতি
প্রথম ধাপ: একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে থেকে গুগল পে অ্যাপটি ইন্স্টল করে নিন।
আরো পড়ুন:
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে এডিবির ৬১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন
খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
দ্বিতীয় ধাপ: অ্যাপ ওপেন করে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করুন।
তৃতীয় ধাপ: এ পর্যায়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যাদি নির্ভুলভাবে সংযুক্ত করুন।
চতুর্থ ধাপ: একটি গোপন পিন এবং বায়োমেট্রিক সুরক্ষা সেট করুন।
পঞ্চম ধাপ: সেটাপ সংক্রান্ত ধাপগুলো সম্পন্ন হলে সিস্টেমটি লেনদেনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কম সময়ে লেনদেনের জন্য কিউআর কোড সেট করে নিতে পারেন। এছাড়া এর জন্য ফোন নাম্বারও ব্যবহার করা যায়।
গুগল পে- এর সুবিধাসমূহ
১. এই মাধ্যমে পেমেন্ট সিস্টেমে রয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি। গুগল পে গ্রাহকের তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এ মাধ্যমে কোনও রকম ডাটা হ্যাক বা তথ্য চুরির আশঙ্কা নেই।
২. গুগল পে ব্যবহার করলে কাগুজে টাকা বা প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন নেই।
৩. দেশে ও বিদেশে পস বা পিওএস (পয়েন্ট অব সেল) টার্মিনালে অর্থ পরিশোধ করার জন্য শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্পর্শ করলেই হবে। তবে পস টার্মিনালটি অবশ্যই এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সমর্থিত হতে হবে। এই সেবা গ্রহণের জন্য গুগলকে কোনও ফি দিতে হবে না।
৪. এই মাধ্যমটি ডিজিটাল, তাই এর জন্য ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই।
৫. চিরাচরিত ব্যাংকিং ট্রান্সফার সিস্টেমগুলোর তুলনায় গুগল পে-তে ফান্ড ট্রান্সফার অধিক দ্রুত গতির।
৬. গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের মত যাবতীয় ইউটিলিটি বিল এবং মোবাইল রিচার্জ গুগল পে’র মাধ্যমে করা যাবে।
৭. ক্যাশব্যাক এবং ব্যবহারের উপর রিওয়ার্ড পয়েন্টের সুবিধা রয়েছে।
৮. গুগল পে’র কিউআর কোড ফিচারটি ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের লেনদেনকে আরও সুবিধাজনক করে তুলবে।এই মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজে ও দ্রুত পেমেন্ট নেওয়া যাবে, অন্যদিকে হিসাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
সূত্র: ইউএনবি
ঢাকা/লিপি