Prothomalo:
2025-11-03@16:24:18 GMT

পেঁপের পাতার মতো বহু দিকে

Published: 25th, June 2025 GMT

উপভোগ

শুয়ে শুয়ে

সামনের ফ্যাটফ্যাটা

দেয়াল ভাল্লাগে না,

জানলামুখী হই

পরিচিত চাদর

অপরিচিত করি

ছাই ফেলে ফেলে

আর অজগরের মতো

ছুটে যায় দ্রুতযান

শব্দ দিয়ে

দৃশ্য ধরি তার

চোখ ফুঁড়ে

বেরিয়ে যায়

সুদীর্ঘ পিঁপড়ার সারি,

বৃষ্টিরে লাগে

মামুলি তরঙ্গের স্তূপ

একা খুব

কল্পনা করি

ভয় ও ভালোবাসা

ভাবি যাক—

যা কিছু পাখি

প্রেম যতখানি

আঁকা যায়

জানলায়,

শুয়ে শুয়ে।

ফাল্গুনী রুটিন

আকাশ মেঘ মেঘ

ঝরনা ফোন ধরল না

সঙ্গ, সংজ্ঞা, সফর, সম্পর্ক, সড়ক

কিছুই সেলাইহীন হলো না।

আত্মহত্যা নিয়ে এতবার ভেবেছি,

সেখানে আর থ মেরে থাকা যায় না

একঘেয়ে লাগে, মেঘ মেঘ লাগে

ঝরনা ফোনটা ধরবে না

কবিতাটা আগাবে না অভ্যস্ত গতিতে

শুধু একঘেয়ে মেঘ মেঘ

থ মেরে থ বাঁচিয়ে

অথই জলাধার জীবন

জাপটে ওই

থাকাথাকি।

ইন্টারোগেশন

তোমরা—নামহীন, দামহীন

যথেষ্ট কামহীন বেচারারা

বাংলার বিরাট বিস্তীর্ণ

লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানে

অলীক স্বপ্নের দীর্ঘ ধ্যানে

আজ এবং আগামীকাল

এই গাঢ় সন্দেহের সাগরে

ডুব দাও ডোবানোর আগে

বলো—ইউ আর টায়ার্ড।

বহুমুখী

ওইখানে, সুরে, বারান্দায় আমি

পেঁপের পাতার মতো বহু দিকে

তীক্ষ্ণ আগ্রহে চলে যেতে যেতে

চোখ খুলে যায় অসুখে অথবা

আরও যত প্রতিশব্দ আবিষ্কার

করা গেছে তার, এই ধ্বংস অব্দি।

ওইখানে, দূরে, সারিন্দায় আমি

বেজে চলছি, ফেরারি আগ্রহে.

..

ভগ্নমন ভৈরবী

আমারে ধরো আমি দুর্বল

হাতে–পায়ে ধরা নয়

এই ধরা তুমি বোঝো।

বোঝার মতো ভারী, হৃদয়;

দেখো সে–ও এক গ্রাম

গ্রাম মানেই কি পাখি?

তেমন জরুরি নয় কিন্তু; তবু

কান পাতা যেতে পারে ভিতরে

এমনকি বাহিরে বোতাম খোলা

অথবা পুরাতন সেলাইয়ের ফোকর

ভরাট রেখেও দেখা যেতে পারে

কোথাও কাকলি লুকিয়ে আছে কি না।

দেখতে চোখ দরকার, আদতে দরকার কী!

এতবার লিখি, আঁকি, দাগাই, জাগাই

মনে মনে; মনে হয় ভালোবাসি বলা হলো না

হয়ে গেলে বিপদ কি না, কে জানে

যারা জানে, খুঁজলে নিশ্চয়ই জানা যেত।

আবার খোঁজ, চিরকাল এই স্বতঃস্ফূর্ত উপাসনা

উপলব্ধির পর ক্লান্ত লাগে, তীব্র আহত

আমারে ধরো, হাতে–পায়ে ধরা নয়

হৃদয়, পাখি-পাথর সবকিছু ছাড়িয়ে

দেখো সে এক প্রবল গ্রাম, শীতকাতর, নরম।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ রিয়াজ (২৯) নামে এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মোকশাইল গ্রামের আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারি যে, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাসার সামনের পাকা রাস্তার ওপর রিয়াজ নামে ওই ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিয়াজ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে লুঙ্গির ভাঁজ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ