হেডিংলি টেস্টে পাঁচ সেঞ্চুরি পেয়েছে ভারত। জবাবে দুই ইনিংসে দুই ইংলিশ ব্যাটার সেঞ্চুরি করেছেন। একজন করেছেন ৯৯। তারপরও হেডিংলিতে রেকর্ড রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ভারতকে লজ্জা উপহার দিয়েছে। 

লিডসে ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রান করেছিল। জবাবে ইংল্যান্ড করেছিল ৪৬৫ রান। ৬ রানের লিড নিয়েছিল ভারত। প্রথম ইনিংসের দলটির জয়সোয়াল ১০১ রান করেন। গিল ১৪৭ ও পান্ত ১৩৪ রান যোগ করেন। ইংল্যান্ডের অলি পোপ ১০৫ ও হ্যারি ব্রুক ৯৯ রান করে আউট হন। 

তারপরও ভারতের রান ছুঁয়ে ফেলার কারণ ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট প্রথম ইনিংসে ৬২, জেমি স্মিথ ৪০ ও ক্রিস ওকস ৩৮ রান করেছিলেন। তিন সেঞ্চুরির বাইরে ভারতের কোন ব্যাটার সেভাবে রান পাননি। কেবল কেএল রাহুল ৪২ রান করেছিলেন। বাকিরা ২০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি। 

দ্বিতীয় ইনিংসেও একই দশা হয়েছে ভারতের। রাহুল ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। পান্ত ১১৮ রান যোগ করেন। ৩৬৪ রান করা ইনিংসে ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক রান ছিল সাই সুদর্শনের ২৫। 

ভারতের দেওয়া ৩৭০ রানের লিড তাই অলি পোপের ১৪৯ রানে তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। অবশ্য কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন স্বাগতিকদের আরও চার ব্যাটার। ওপেনার জ্যাক ক্রলি ৬৫ রান করে ১৮৮ রানের ওপেনিং জুটি দিয়ে ম্যাচের চিত্র ঘুরিয়ে দেন। জো রুট ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। বেন স্টোকস ৩৩ রান করে ফিরলেও জেমি স্মিথ ৪৪ রান যোগ করেন। 

এতেই এক টেস্টে পাঁচ সেঞ্চুরি করেও প্রথম পরাজিত দল হিসেবে ইতিহাসে নাম তুলেছে ভারত। প্রায় একশ’ বছর আগে এক টেস্টে চার সেঞ্চুরি করে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে মেলবোর্নে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। টেস্টে চতুর্থ সর্বাধিক ৮৩৫ রান করে পরাজিত দলে ভারত। এর আগে ৮৩৭ ও ৮৪৭ করে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। ১৯৪৮ সালে ৮৬১ করে অজিদের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। 

হেডিংলি অবশ্য বরাবরই রান তাড়া করার ভেন্যু হিসেবে পরিচিত। সেখানে সর্বশেষ ছয় টেস্টে পরে ব্যাট করা দল জিতেছে। সাড়ে তিনশ’ রান তাড়া করে জয়ের এটি তৃতীয় ঘটনা। এছাড়া ৩৭১ রান তাড়া ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বাধিক। ভারতেরও দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের লিড নিয়েও হারের লজ্জা এটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল ঋষভ প ন ত র ন কর ন কর ছ কর ছ ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি

জনপ্রশাসনে এখন নিয়মিত উপসচিব পদ রয়েছে এক হাজারের মতো। কিন্তু এই পদে কর্মকর্তা রয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন। পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা আগে থেকেই বেশি ছিল। তারপরও গত মাসে ২৬৮ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

পদোন্নতি দেওয়ার পর কর্মকর্তাদের দ্রুত পদায়ন করা যায় না। কারণ, পদায়নের মতো জায়গা কম, খালিও থাকে না। তখন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে আগের পদেই রেখে দেওয়া হয়, তাঁরা আগের কাজই করেন। শুধু বাড়ে বেতন ও ভাতা। পাশাপাশি উপসচিব পদে তিন বছর চাকরির পর গাড়ি কেনার জন্য বিনা সুদের ঋণসুবিধা পাওয়া যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ৫২ জন কর্মকর্তাকে আগের পদেই পদায়ন (ইনসিটু) করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ২৮ আগস্ট উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া এ রকম ২৬৮ জন কর্মকর্তার বেশির ভাগের দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা আগে থেকেই বেশি ছিল। তারপরও গত মাসে ২৬৮ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।বাংলাদেশ সচিবালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি