রূপগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বাস সার্ভিস
Published: 26th, June 2025 GMT
রূপগঞ্জের সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পরিক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে বাস সার্ভিস ব্যবস্থা করেছে জিয়া মেমোরেবল ফাউন্ডেশন। গতকাল ২৬ জুন সকাল ৮ টায় সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ থেকে সলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উদ্দেশ্যে বাসগুলো ছাড়া হয়।
পরিক্ষার্থীরা যাতে কোনো রকম দুশ্চিন্তা ছাড়া ও মানসিক প্রশান্তি নিয়ে সঠিক সময়ে পরিক্ষায় অংশ নিতে পারে সেই লক্ষ্যেই এ রকম একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে কলেজের সাবেক ভিপি, জিয়া মেমোরেবল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
তার এ ব্যতিক্রম উদ্যোগে সঠিক সময়ে পরিক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে ও পরিক্ষা শেষ করে নিরাপদে বাড়িতে ফিরে পরিক্ষার্থীরা। এ বিনামূল্যে এ বাস সার্ভিসটি সকল পরিক্ষায় দেওয়া হবে।
সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের পরিক্ষার্থীরা জানান, এবারের মতো পূর্বে কেউ আমাদের কলেজের পরিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেনি। এবছর আমাদের কলেজের সাবেক ভিপি, জিয়া মেমোরেবল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন আমাদের যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে বাস সার্ভিস দিয়েছেন।
এ বাস পেয়ে আমরা অনেক খুশি। বাস পাওয়ার কারণে আমরা সঠিক সময়ে পরিক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে পারবো এবং আমরা নিশ্চিন্তে পরিক্ষা দিতে পারবো। আমরা চাই এরকম ভাবে সবসময় যেন এ কলেজ থেকে পরিক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। আমরা গোলাম ফারুক খোকনকে ধন্যবাদ জানাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জিয়া মেমোরেবল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক খোকন বলেন, সরকারি মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা ছিলো। পরিক্ষার্থীদের এ সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমরা জিয়া মেমোরেবল পক্ষ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।
পরিক্ষার্থীরা যাতে করে সঠিক সময়ে পরিক্ষার হলে পৌছাতে পারে। এ বাস সার্ভিসটি সকল পরিক্ষায় দেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ পর ক ষ র থ দ র পর ক ষ র থ র ব যবস থ কল জ র র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।