রাজধানীর একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ সৌদি রিয়াল লুটের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন।

ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে তাঁরা তৎপরতা শুরু করেন। রাতভর অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীও আছেন। অভিযানে ২ লাখ ৬৯ হাজার সৌদি রিয়াল উদ্ধার হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ বলছে, অভিযোগে বলা হয়েছিল, গতকাল বিকেলে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী ৫ লাখ সৌদি রিয়াল নিয়ে প্রাইভেট কারে করে পল্টন থেকে উত্তরায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আসেন। তখন ছিনতাইকারীরা প্রাইভেট কারটি ঘিরে ফেলেন। অস্ত্রের মুখে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির কর্মীর কাছ থেকে ৫ লাখ সৌদি রিয়াল লুটে নেন ছিনতাইকারীরা।

অভিযোগ পেয়েই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেন বলে জানান ওসি আসলাম হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি ছিল একটি সাজানো ঘটনা। গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির ওই কর্মীও আছেন। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইভিএম কেনায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

বাজারমূল্যের চেয়ে দশ গুণ বেশি দামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দেড় লক্ষ নিম্নমানের ইভিএম কেনায় সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতি বা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। 

বুধবার যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও  সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার। এ ছাড়া আরও তিন কর্মকর্তাকে ডাকা হলেও গতকাল হাজির হননি। তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক ও আইটি সিস্টেম কনসালট্যান্ট এ এইচ এম আব্দুর রহিম খান।

কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন, কোনো সমীক্ষা ও টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইভিএম মেশিন ক্রয়ের অভিযোগ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনে গুণগত মানসম্পন্ন ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে কিনা এবং প্রতিটি ইভিএমের মূল্য সঠিক ছিল কিনা– দুদক এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বের করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ টিম এই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ইসি ও মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ