চট্টগ্রামে নগরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়ে অনেকেই পোস্ট দেন। তবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) প্রকৌশলীরা জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গ্যাসের পাইপ লাইনের লিকেজ শনাক্তে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। সেটির গন্ধ পাচ্ছেন বাসিন্দারা। লিকেজগুলো মেরামতের কাজ চলছে। 

হালিশহরের বাসিন্দা রেজাউল সাইমুন ও পাহাড়তলীর হাজী ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, তারা বিকেল থেকে তাদের এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন। তবে কেজিডিসিএল আগে থেকে নগরবাসীকে অবহিত না করায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

এ বিষয়ে কেজিডিসিএলের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, এটি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। লিকেজ শনাক্ত করতে গন্ধ পাওয়ার জন্য ক্যামিকেল (ওডোরেন্ট) ব্যবহার করা হয়। সেটির গন্ধ পাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। লিকেজ মেরামতের কাজ চলছে। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। আশা করছি, দ্রুত এ গন্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।

কেজিডিসিএলের ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো.

শফিউল আজম খান বলেন, গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজের কারণে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। লিকেজ মেরামতের কাজ চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ ড স এল আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘দুই ভাইয়ের বিরোধ’

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতন এবং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে প্রধান হোতা শাহ পরান এবং তার ভাই ফজর আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই শাহ পরান এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই শাহ পরান জনতাকে উস্কে দিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ধর্ষককে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী এবং ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রায় দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে গ্রাম্য শালিসে ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় মারেন। এ অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন শাহ পরান। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, যুবক গ্রেপ্তার  

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক জানান, শালিসের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়ির আশপাশে অবস্থানরত শাহ পরান এবং একই গ্রামের আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান ও অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করেন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। তা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, এ ঘটনা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ