আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’–এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক রাফিউর রহমান ফাত্তাহ।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিজয়নগর দলীয় কার্যাল‌য়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা ক‌রেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক।

কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের প্রধান তত্তাবধায়ক ও এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল হক সানী, এবি পার্টির সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, “আমরা সংগঠনের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও মূল আদর্শকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব। সাম্য ও অধিকার ভিত্তিক নতুন প্রজন্মের ছাত্র সংগঠন এর বার্তা সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেব। জুলাইকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে ছাত্রপক্ষ। আমদের সংগঠনের নেতৃত্ব হবে পরিশ্রমী, জবাবদিহিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাফিউর রহমান ফাত্তাহ বলেন, “সকল কাউন্সিলর, কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলছি—আমরা সকলের মতামত ও অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে আগামী দিনের সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করব। ছাত্রপক্ষ থাকবে গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে সক্রিয়।”

নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী মেয়াদে ছাত্রসমাজের অধিকার রক্ষায় এবং সংগঠনের নীতিগত অবস্থান রক্ষা ও বাস্তবায়নে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করবে—এ প্রত্যাশা সকলের।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রপক ষ স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ