আমেরিকার সিমন্স ডিসটিংগুইশড স্কলার অ্যাওয়ার্ড, জিপিএ ৩.৩ হলে বৃত্তির আবেদন
Published: 7th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে সিমন্স ইউনিভার্সিটির ‘সিমন্স ডিসটিংগুইশড স্কলার অ্যাওয়ার্ড’-এ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ বা সম্মাননা। এটি সাধারণত অত্যন্ত মেধাবী, একাডেমিকভাবে উৎকৃষ্ট ও নেতৃত্বের গুণাবলিতে সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়, যাঁরা স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক। শক্তিশালী নেতৃত্বের গুণাবলি ও সামাজিক-সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীও এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত সিমন্স ইউনিভার্সিটি। সিমন্স ইউনিভার্সিটি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বোস্টনে অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৮৯৯ সালে পোশাক প্রস্তুতকারক জন সিমন্সের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার কাঠামো পুনর্গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্নাতক প্রোগ্রামে প্রায় ১ হাজার ৭৩৬ শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়।
আরও পড়ুনবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ইন্টার্নশিপ জেনেভায়, দিনে ৬০ সুইস ফ্রাঙ্কসহ অন্য সুবিধা১০ জুন ২০২৪সুযোগ-সুবিধা—
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেওয়া হবে।
আবাসনের ব্যবস্থা।
আছে গবেষণার সহায়তা।
একাডেমিক অন্যান্য কাজের জন্য অতিরিক্ত তিন হাজার ডলার।
বিশ্ববিদ্যালয়টি স্নাতক প্রোগ্রামে প্রায় ১ হাজার ৭৩৬ শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়। ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দে একটি রচনা লিখতে হবে।প্রথম আলো ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য স মন স
এছাড়াও পড়ুন:
কৃতজ্ঞতাভরা হৃদয়ে দিলীপ কুমারের চিঠিগুলো এখনো পড়েন স্ত্রী সায়রা
২০২১ সালের ৭ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রী সায়রা বানু একটি লেখা শেয়ার করেছেন যা প্রমাণ করে, মৃত্যুর পরেও তাদের বন্ধন কতোটা সুদৃঢ়। সায়রা স্বামীকে ‘প্রজন্মের পথপ্রদর্শক নক্ষত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সোমবার ইনস্টাগ্রামে দিলীপ কুমারের বিখ্যাত চলচ্চিত্র এবং তরুণ বয়সের ছবি সম্বলিত একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সায়রা বানু।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সাহেবের অভাব কখনোই দূর হতে পারে না...তবুও, আমি তার সাথে আছি চিন্তায়, মনে, জীবনে। এই জীবনে এবং পরবর্তী জীবনে, আমার হৃদয় তার অনুপস্থিতিতেও তার পাশে হাঁটবে। প্রতি বছর, এই দিনে আমি সাহেবের স্মৃতিগুলোকে কোমল ফুলের মতো কোলে তুলে নেই। তার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার তাকে কখনও ভুলতে পারে না।’
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘তাদের ভালোবাসা এবং বার্তাগুলো প্রার্থনার মতো আসে, যা উষ্ণতায় মোড়ানো। আমি কৃতজ্ঞতাভরা হৃদয়ে প্রতিটি চিঠি পাঠ করি এটা ভেবে যে, পৃথিবী এখনও সেই মানুষটির জন্য জায়গা রেখেছে যেখানে সাহেব ছিলেন এবং চিরকাল থাকবেন।’
এই প্রবীণ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘দেখুন, সাহেব কেবল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরো এক যুগ। ছয় প্রজন্মের অভিনেতাদের অনুপ্রেরণা এবং ভবিষ্যতের জন্য পথপ্রদর্শক তারকা তিনি। তিনি ছিলেন মহান রাষ্ট্রনায়ক পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, অটল বিহারী বাজপেয়ী, নরসিংহ রাও সাহেবের সেরা সঙ্গী। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন কিছু তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, শিল্পপতি। সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যায়নি।’
এরপর তিনি লিখেছেন, “তিনি খেলাধুলা ভালোবাসতেন। ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলতেন এমনভাবে যেন তিনি মাঠে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রায়শই বলতেন, ‘যদি ভাগ্য বলে কিছু না থাকত, তাহলে আমি একজন জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ হতাম।’ কিন্তু নিয়তির নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল এবং বিশ্বকে সর্বকালের সেরা অভিনেতা উপহার দিয়েছিল। তবে এসবের বাইরে তিনি ছিলেন একজন কোমল, চমৎকার এবং মজার একজন মানুষ।’
বলা প্রয়োজন, ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন দিলীপ ও সায়রা। সায়রা দিলীপ কুমারের থেকে বয়সে প্রায় ২২ বছরের ছোট। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের বয়স ছিল ৫৪ বছর। শেষ কয়েক বছরে নিজেকে পুরোপুরি সায়রার হাতে সঁপে দিয়েছিলেন কিংবদন্তী এই অভিনেতা। এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দিলীপ কুমারের সাথে ছিলেন সায়রা বানু।