কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানার এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এসআই সঞ্জীব পাল বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার–পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় তাঁকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে।

থানা–পুলিশ জানায়, রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মালুমঘাট বাজার এলাকা থেকে একটি মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেন এসআই সঞ্জীব পাল। সাজ্জাদ উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাহাড় এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর সাজ্জাদকে থানার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার সময় তাঁর স্বজনেরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা সাজ্জাদকে ছিনিয়ে নেন।

ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যাহার হওয়া এসআই সঞ্জীব পাল বলেন, ‘সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে অটোরিকশায় তোলার সময় হঠাৎ তাঁর স্বজনেরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর আমাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়া থানার নতুন ওসি নুরুজ্জামান
  • ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
  • মারা গেছেন বাদী ও চার আসামি, ৩৫ বছরেও শেষ হয়নি অস্ত্র মামলার বিচার
  • এসআই পরিচয়ে থানায় তরুণী, কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা
  • মুরাদনগরের সেই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘নেপথ্যের’ ব্যক্তি কারাগারে