চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। পাশাপাশি পটিয়া থানায় নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নুরুজ্জামান। এর আগে একই থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা পটিয়া থানায় যোগদান করেন।

সোমবার জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বোয়ালখালী থানার ওসি গোলাম সারোয়ারকে চন্দনাইশ থানায় বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে, চন্দনাইশ থানার ওসি নুরুজ্জামানকে পটিয়া থানায় বদলি করা হয়েছে।

পটিয়া থানার নতুন ওসি মো.

নুরুজ্জামান বলেন, আমি পটিয়া থানায় নতুন যোগদান করছি। যতদিন ওই দায়িত্বে থাকবো ততদিন সমাজ থেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ্।

সম্প্রতি পটিয়া থানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলা সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দে-কে গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবরোধে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরেই পটিয়া থানার তৎকালীন ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন  নুরকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ছাত্রদের দাবি ছিল পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর, এসআই মোহাম্মদ আসাদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলামকে প্রত্যাহারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।

ইতোমধ্যে ছাত্রদের আল্টি‌মেটামের প্রেক্ষিতে ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর, এসআই আসাদুজ্জামানকে পটিয়া থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওসি জায়েদ নুরকে প্রত্যাহার ও এসআই আসাদুজ্জামানকে মিরসরাই থানায় বদলি করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ায় এসআই প্রত্যাহার
  • ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
  • মারা গেছেন বাদী ও চার আসামি, ৩৫ বছরেও শেষ হয়নি অস্ত্র মামলার বিচার
  • এসআই পরিচয়ে থানায় তরুণী, কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা
  • মুরাদনগরের সেই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘নেপথ্যের’ ব্যক্তি কারাগারে