চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আসামি গ্রেপ্তার
Published: 9th, July 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে কক্সবাজারের কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সাজ্জাদ চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাহাড় এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
চকরিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মালুমঘাট বাজার এলাকা থেকে একটি মামলায় সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জীব পাল। গ্রেপ্তারের পর সাজ্জাদকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার সময় তাঁর স্বজনেরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা সাজ্জাদকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় এসআই সঞ্জীব পাল বাদী হয়ে সাজ্জাদসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ ও আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি মামলা করেন। পরে সোমবার দুপুরে এসআই সঞ্জীব পালকে প্রত্যাহার করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।