‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’— প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নড়াইলে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগ নড়াইলের আয়োজনে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান সপ্তাহব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আহসান মাহমুদ রাসেল, বন বিভাগের জোনাল অফিসার খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
খুবিতে শহীদ মীর মুগ্ধ স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
সিরাজগঞ্জে ১৩ শহীদের স্মরণে ১৩ চারা রোপণ
সপ্তাহব্যাপী মেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নার্সারির ১০টি স্টল অংশ নেয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীদের ২টি করে ফলের চারা বিতরণ করেছি। তারা তাদের বাড়ির আঙিনায় লাগাবে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। প্রত্যেককে অন্তত ১টি করে গাছ লাগানো উচিৎ।’’
উদ্বোধন শেষে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
ঢাকা/শরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’