যুক্তরাষ্ট্রে টেকঅফের ঠিক আগে বিমানের চাকায় আগুন
Published: 27th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে একটি বিমানে আগুন লেগে ব্যাপক আতঙ্কের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মিয়ামি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এএ৩০২৩-এর ল্যান্ডিং গিয়ারে হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটি টেকঅফের জন্য প্রস্তুত ছিল, ঠিক তখনই বাঁ দিকের ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুনের শিখা দেখা যায়। টেকঅফ সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয়।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ফ্লাইটটির যাত্রী, পাইলট ও ক্রু সদস্যরা। জরুরি স্লাইড ব্যবহার করে ১৭৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রুকে নিরাপদে প্লেন থেকে বের করে আনা হয়। এসময় একজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মিশিগানের ওয়ালমার্টে ছুরি হামলায় আহত ১১
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের (স্থানীয় সময়) দিকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮-এর এএ-৩০২৩ ফ্লাইটের মিয়ামি যাওয়ার কথা ছিল। ফ্লাইটটি রানওয়েতে আসার পরেই ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এর পরে বিমানের ভিতরে ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডেনভার ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং বিমানবন্দরের জরুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ) জানিয়েছে, ফ্লাইটটির টায়ারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিছুক্ষণের জন্য বাকি ফ্লাইটগুলো দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং আমেরিকান এয়ারলাইন্স এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। একই সঙ্গে আমেরিকান এয়ারলাইন্স যাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে এবং পেশাদারিত্বের জন্য ক্রু সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি