কিছুদিন আগে মা হয়েছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা সুনীল শেঠির কন্যা আথিয়া শেঠি। মেয়ের নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত ছিলেন সুনীল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুনীল দাবি করেছিলেন—“সি-সেকশন আরামদায়ক” এ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন এই তারকা। 

কয়েক দিনে আগে পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুনীল শেঠি। এ আলাপচারিতায় এ সময়ে বিয়ে নিয়ে কথা বলেন। তার ভাষ্য, “নারীদের বুঝতে হবে, স্বামী যদি ক্যারিয়ার গড়েন, তাহলে স্ত্রীকে সন্তান সামলাতে হবে।” এই বক্তব্য নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। 

সুনীল শেঠি বলেন, “আজকাল বাচ্চাদের ধৈর্যই নেই। বিয়ের কিছুদিন পরই এটি আপোসে পরিণত হয়। যেখানে পরস্পরকে বুঝতে হয়, পরস্পরের জন্য বাঁচতে হয়।” 

আরো পড়ুন:

আহান পান্ডে জ্বরে কাঁপছে বলিউড: চর্চায় নবাগত নায়কের প্রেম জীবন

তিশার সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন খায়রুল বাসার

“এরপর একটি সন্তান আসার কথা আসে, তখন একজন স্ত্রীর জানা প্রয়োজন, স্বামী যদি তার ক্যারিয়ার গড়তে কাজ করেন, তাহলে স্ত্রীকেই সন্তানের দেখভাল করতে হবে। অবশ্যই, স্বামী তার পাশে থাকবেন। যদিও এখন সব কিছুতেই অনেক চাপ।” বলেন সুনীল শেঠি। 

দাদি-মায়েদের মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে সন্তান লালনপালনের জ্ঞান নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সুনীল। তার ভাষায়, “এখনকার দিনে সবাই পরামর্শ দেয়। ভার্চুয়াল দুনিয়া শেখায়—কীভাবে মা হতে হয়, কীভাবে বাবা হতে হয়, কী খেতে হয়, কী করতে হয়। আমার মনে হয়, ঠাকুমা, মা, বোন বা শ্বশুর-শাশুড়ির মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসব শেখা উচিত।” 

এ সময়ে সংসার ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করে সুনীল বলেন, “এখন অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। এখন মানুষের বিয়ে হতে না হতেই ডিভোর্স হয়ে যায়। সম্পর্কগুলোতে আর সেই গভীরতা থাকছে না। এর প্রধান কারণ ভার্চুয়াল জগতে মানুষের অতিরিক্ত আসক্তি। মানুষ এখন নিজেকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ