নতুন উপাচার্যের যোগদানে কুয়েটে অচলাবস্থা নিরসনের প্রত্যাশা
Published: 27th, July 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) প্রায় ৫ মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চলছে অচলাবস্থা। এ অবস্থায় যোগ দিয়েছেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর পরদিনই খুলনায় এসে দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) জ্যেষ্ঠ এই অধ্যাপক বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সংকট নিরসনের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আরো পড়ুন:
হুমকি দেওয়া নিয়ে ইবিতে সহ-সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ৫ মাসে কুয়েট লেখাপড়ায় দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিছিয়ে পড়েছে। গত মার্চে ১৯ ব্যাচের শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারা এখন হতাশ। তাদের অভিভাবকরা আক্ষেপে দিন কাটাচ্ছেন।
নতুন উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “দায়িত্ব নিয়েই সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়ে সবার বক্তব্য শুনছি, পরামর্শ নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শৃঙ্খলা, একাডেমিক পরিবেশ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সবার মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “ডিনদের মধ্যে বৈঠকের পর পার্শ্ববর্তী তিন থানার ওসির সঙ্গে বৈঠক করেছি। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলব। দ্রুত ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর শিক্ষকরা আর ক্লাসে ফেরেননি।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’