‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: গ্রেপ্তার ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড
Published: 27th, July 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে পাঠানো ৪ জন হলেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো.
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, মোবাইল নিয়ে পালাল ছিনতাইকারী
চাঁদাবাজদের তালিকা হচ্ছে, পুলিশ কঠোর অবস্থানে: আইজিপি
গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা নিতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই গুলশান-২ এলাকায় শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক' পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। চাঁদা না দিলে শাম্মী আহমেদের স্বামীকে ‘আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর' আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তারা।
ভয়ে সেদিন ১০ লাখ টাকা দেন শাম্মীর স্বামী। এরপর ১৯ জুলাই তারা আবার গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুমকি দিয়ে চলে যান।
২৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে গেলে, পুলিশের পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকেই রিয়াদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই আহম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি ছেড়ে মুরগির খামারে বাজিমাত, আকরামের মাসে আয় অর্ধলাখ টাকা
একসময় অন্যের অধীনে চাকরি করতেন আকরাম। মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন মিলত ঠিকই, কিন্তু তাতে মনের খোরাক জুটত না। মনে হতো, জীবনটা কি শুধু এভাবেই যাবে? কিছু একটা নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। এই ভাবনাই তাঁকে টেনে এনেছিল নিজের মাটিতে, নিজের গ্রামে। শুরু করেছিলেন ছোট্ট এক খামার দিয়ে। সেই খামারই এখন তাঁর সফলতার সবচেয়ে বড় ঠিকানা। খামার থেকে এখন তাঁর মাসে আয় প্রায় অর্ধলাখ টাকা।
আকরাম মোল্যার বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া গ্রামে। বাবা আবদুর সামাদ মোল্যার চার সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁদের সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই ২০১৪ সালে এইচএসসিতে পড়ার সময়ই ভাগ্য বদলের আশায় চট্টগ্রামে পাড়ি দেন আকরাম। কাজ নেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। টানা তিন বছর চাকরি করে সিদ্ধান্ত নেন, আর নয় অন্যের হয়ে কাজ; এবার নিজের স্বপ্নের পথে হাঁটবেন।
২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন আকরাম। এ সময় পরিবার তাঁর পাশে দাঁড়ায়। তিন লাখ টাকা জোগাড় করে আকরাম শুরু করেন ‘ভাই ভাই অ্যাগ্রো ফার্ম’। শুরুতেই তোলেন দুই হাজার সোনালি জাতের মুরগির বাচ্চা। কিন্তু ভাগ্য তখন সহায় ছিল না। একে একে মারা যায় ১ হাজার ৬০০ বাচ্চা। একেবারে শুরুতেই এমন ধাক্কা অনেককেই হয়তো থামিয়ে দিত। তবে আকরাম হাল ছাড়েননি।
আকরাম বলেন, শুরুতেই এত বড় লোকসানে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু ঠিক করেন—এখানেই থামবেন না। এরপর নতুন করে শুরু করলেন মিসরীয় ফাউমি মুরগির খামার, যাকে বলা হয় ‘ডিমের রাজা’। এই জাতটি রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী, ডিমও দেয় বেশি। ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
খামারের একটি শেডে রাখা হয়েছে বড় মুরগিগুলো। এই মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি করেন আকরাম। সম্প্রতি নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামে