বর্ণবাদী বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব তৈরিতে সহায়তা করেছিল এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 27th, July 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্ণবাদী বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব তৈরিতে ‘ব্যাপক’ ভূমিকা পালন করেছিল এবং ট্রান্সআটলান্টিক দাস ব্যবসা থেকে প্রচুর লাভবান হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসের একটি যুগান্তকারী তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে।
গার্ডিয়ানের দেখা একটি সরকারী তদন্তের ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি সাবেক ছাত্র ও দাতাদের কাছ থেকে কমপক্ষে তিন কোটি পাউন্ড সমতুল্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল। এই ছাত্র ও দাতাদের সঙ্গে আফ্রিকান জনগণকে দাসত্বে পরিণত করা, বৃক্ষরোপণ অর্থনীতি এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্য জুড়ে শোষণমূলক সম্পদ সংগ্রহের সাথে সম্পর্ক ছিল।
তদন্তে দেখা গেছে, এডিনবার্গ ১৮ ও ১৯ শতকে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের তত্ত্ব তৈরিকারী অধ্যাপকদের জন্য একটি ‘স্বর্গ’ হয়ে ওঠে। এই অধ্যাপকরা লাঞ্ছনাজনক ‘জাতিগত ছদ্ম-বিজ্ঞান’ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল যা আফ্রিকানদের বর্ণগত শ্রেণিবিন্যাসের নীচে রাখে। ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কাছে এখনো ৯৪ লাখ পাউন্ড মূল্যের দান রয়েছে, যা সরাসরি দাসত্ব, ঔপনিবেশিক বিজয় এবং সেইসব ছদ্ম-বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত দাতাদের কাছ থেকে। এই অর্থ দিয়ে আজো বক্তৃতা, পদক এবং ফেলোশিপের অর্থায়ন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্যার পিটার ম্যাথিসন, যিনি তদন্তটি পরিচালনা করেছিলেন, তিনি বলেছেন যে এর ফলাফলগুলো ‘পড়া কঠিন।’ কিন্তু এডিনবার্গের ইতিহাস এবং অর্জন সম্পর্কে ‘নির্বাচিত স্মৃতি’ থাকতে পারে না।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য কর ছ ল তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ রিয়াজ (২৯) নামে এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মোকশাইল গ্রামের আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারি যে, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাসার সামনের পাকা রাস্তার ওপর রিয়াজ নামে ওই ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিয়াজ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে লুঙ্গির ভাঁজ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।