উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাঙামাটি সদর উপজেলার মানিকছড়ি ও সাপছড়ি ইউনিয়নের অন্তত ৩৫টি বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। গতকাল রোববার রাত থেকে ও আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত একটানা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টির কারণে মানিকছড়ি ও সাপছড়ি ইউনিয়নে মানিকছড়ি ছড়ার পানি বেড়েছে। এ ছাড়া উজান থেকে নেমেছে পাহাড়ি ঢল। ফলে মানিকছড়ি ছড়ার তীরে অবস্থিত মানিকছড়ি, বোধিপুর, মধ্যমপাড়া ও খামারপাড়া গ্রামের বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে যায়। ওই সব এলাকার ৩০ থেকে ৩৫টি কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি তলিয়ে গেছে। দুপুরের পর বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে থাকে। আজ বিকেল নাগাদ বাড়িঘর থেকে পানি সরে গেছে। তবে তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘরের পলি ও কাদা পরিষ্কার করতে হিমশিম খাচ্ছেন বাসিন্দারা।

মধ্যমপাড়া গ্রামের অলোক চাকমা ও নিহার কুমার চাকমা বলেন, পানি সরে গেছে, কিন্তু বাড়িঘরে কাদামাটি জমে আছে। সারা দিন কাদামাটি সরানোর কাজ করেছেন বলে তাঁরা জানান।

সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, মানিকছড়ি ছড়া পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। সে জন্য সামান্য বৃষ্টি হলে আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। কয়েক বছর ধরে এ কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানিকছড়ি ছড়া খনন করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অন্যথায় প্রতিবছর এভাবে ঘরবাড়ি ডুববে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন কছড় ব ড় ঘর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ