গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

গত ২৬ ও ২৭ জুলাই ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। 

প্রশিক্ষণে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষক কেটিএমজি তারিক এবং সারাবো ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো.

মইনুর রহমান। এছাড়া, সারাবো ফায়ার স্টেশনের অন্যান্য প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা ও ব্যবহারিক অনুশীলনে সহায়তা করেন।

এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল কর্মক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি প্রতিরোধে সক্ষমতা গড়ে তোলা। আলোচনায় উঠে আসে—

আগুনের ঝুঁকি সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ, আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ ও কর্মী সুরক্ষা, প্রযোজ্য আইন ও প্রবিধান মেনে চলা, নিরাপত্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মনোবল ও দলগত প্রতিক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি। 

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের জন্য অগ্নিকাণ্ডের সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদানের লক্ষ্যে অগ্নি নির্বাপন, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে হাতে-কলমে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও আর্দ্রতার কারণে বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এ সময় বাড়তি সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি।

ওয়ালটন মনে করে, সচেতনতা ও প্রস্তুতিই নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। তাই প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে সকল সদস্যকে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও আপডেট প্রদান করে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী সবাইকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে সনদপত্র প্রদান করা হয়। পুরো আয়োজনের সার্বিক সমন্বয় করেন ওয়ালটনের ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিল জাবি
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 
  • ১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
  • অনলাইন আইপিও আবেদন নিয়ে পাইলট টেস্টিং-প্রশিক্ষণ