দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার রেলস্টেশনে স্ক্যানার স্থাপন
Published: 4th, August 2025 GMT
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার রেলস্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং সেবা চালু হলো।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের আধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানো হয় বলে জানিয়েছেন রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া।
রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ওঠার আগে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্ক্যানিংয়ে সন্দেহজনক কিছু শনাক্ত হলে ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করা হয়। যাত্রীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করছেন।
আরো পড়ুন:
বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি: রেল কর্তৃপক্ষ
খুলনার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া বলেন, “কক্সবাজার থেকে মাদক ও চোরাচালান বেড়েছে। এ প্রবণতা রোধে এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। যাত্রীদের অনুরোধ, ট্রেন ছাড়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছাবেন।”
তিনি জানান, আমেরিকা থেকে আনা এই মেশিন দেশের প্রথম রেলস্টেশনে স্ক্যানার হিসেবে কক্সবাজারে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ওষুধজাত দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাইপণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। শনাক্ত হওয়ার পরই কেবল তল্লাশি করা হয়, যাতে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার না হন।
ঢাকাগামী যাত্রী সাইমন ইসলাম বলেন, “নতুন এই উদ্যোগ আমাদের নিরাপত্তা বাড়াবে। তবে অহেতুক হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
অপর যাত্রী আরেফা আক্তার বলেন, “পরিবার নিয়ে ভ্রমণকারীদের জন্য এটি স্বস্তির খবর। দ্রুত স্ক্যানিং করা গেলে আরও ভালো হবে।”
২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার রেললাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস, আর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস চলাচল করছে।
ঢাকা/তারেকুর/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল স ট শন
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের লাগাতার অনশন কর্মসূচির মুখে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।
তবে এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জকসু নির্বাচন। এর আগে আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং কমিশন ১১তম দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে।
রোডম্যাপ ঘোষণার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা অনশনকারীদের সঙ্গে একমত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা শর্তসাপেক্ষ কোনো ঘোষণা মানব না। আমাদের দাবি ছিল তিনটি—শুধু জকসু নির্বাচন ঘোষণা করে হবে না। তাই অনশন চালিয়ে যাব।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “রোডম্যাপে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিধি কবে পাস হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। আবারও আমাদের মুলা দেখানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য আমরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলো। কিন্তু ঘোষণায় অস্পষ্টতা ও শর্ত যুক্ত করার অভিযোগে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী