রূপগঞ্জে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে আনন্দ মিছিল করেছে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর নেতৃত্বে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী আনন্দ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী মাদরাসা থেকে বের হয়ে মায়ারবাড়ি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক হাজী বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সহসভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, আশরাফুল হক রিপন, কাঞ্চন পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম খান, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল মতিন, সহসভাপতি রজব আলী ফকির, শাহীন মিয়া, ভুলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান ভুঁইয়া,  সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ইসমাইল মামুন, তারাবো পৌর বিএনপির সভাপতি তাশিক ওসমান, হাফিজুর রহমান পিন্টু, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম প্রিন্স, তারাবো পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আফজাল কবির, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ সহ আরো অনেকে।

মিছিলটি রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার মায়ারবাড়ী গিয়ে শেষ হয়ে সেখানে তারা এক সভা করেন। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ।

দেড় যুগের কর্তৃত্ববাদী শাসন, চাকুরিতে বৈষম্য, সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংকখাতে লুটপাট, বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও নির্যাতনে ক্ষুব্ধ ছিল জনগণ। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে জুলাইয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে। ৩৬ দিনের আন্দোলন চুরমার করে দেয় শেখ হাসিনার সব দম্ভ। গত বছরের এই দিনে পতন ঘটে তার স্বৈরশাসনের। সেই ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ৫ আগষ্ট মঙ্গলবার। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন ৫ আগষ্ট। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ। এ দেশের আপামর বাঙালি, যাদের মুখবন্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল ফ জ র রহম ন আনন দ ম ছ ল ব এনপ র স র রহম ন ভ

এছাড়াও পড়ুন:

নানা আয়োজনে দিনভর উৎসবের আমেজ

লম্বা পায়ে মাঠজুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক ব্যক্তি। মাথায় রঙিন পরচুলা। সাজসজ্জাও অদ্ভুত। বিশেষ কায়দায় বাঁশের এক জোড়া লম্বা লাঠির সাহায্যে ‘রণপা’ তৈরি করে হাঁটছিল ওই ব্যক্তি, যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। সেই রণপা সাজের ব্যক্তির কাছে শিশু-কিশোরদের অনেকে আগ্রহ নিয়ে যাচ্ছিল, কেউ আবার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। এর মধ্যেই পাশে দাঁড়িয়ে ছবি কিংবা সেলফি তোলা ও হাত মিলিয়ে করমর্দনও করছিল কেউ কেউ।

এ ছাড়া মাঠজুড়েই ছিল শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার নানা উপকরণ। মিনি ফুটবল খেলে গোল দেওয়া, লুডু খেলে পুরস্কার জেতা কিংবা বুদ্ধি খাটিয়ে ‘ফুট স্টেপ’ খেলা। এর বাইরে অনেক শিশু-কিশোর ছিল বাবুল্যান্ডে খেলাধুলায় কিংবা বায়োস্কোপ দেখায় মত্ত। অনেকে আবার টিয়া পাখির সাহায্যে নিজেদের ভবিষ্যৎও জেনে নিচ্ছিল।

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি মাঠে প্রথম আলো আনন্দমেলায় গতকাল শুক্রবার সারা দিনের চিত্র ছিল এমনই। সকাল থেকেই সেখানে ছিল উৎসবের আমেজ। মেলা শুরু হয় সকাল আটটায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে শিশু-কিশোর, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর আগমনে তা জমজমাট হয়ে ওঠে।

শুক্রবার সকাল আটটার কিছু আগে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবক নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে মাঠে আসছেন। সবার হাতে হাতে আঁকাআঁকির রংপেনসিল, তুলি, খাতা, স্কেল ও অন্যান্য সরঞ্জাম। সাড়ে আটটায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’। প্রতিযোগিতায় তিন শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতায় পাশাপাশি বসে আঁকে দুই ভাই মেহরাব তালহা ও মাহির তাহমিদ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের বাবা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, বড় ছেলের স্কুল মাঠের পাশেই। স্কুলে ছেলেকে আনা–নেওয়ার সময় দেখেন মাঠে এই অনুষ্ঠান আছে। পরে দুই ছেলেকে বলে রেখেছিলেন যে তাদের এখানে অংশগ্রহণ করাবেন। ছোট ছেলে মাহিরের চিত্রাঙ্কনে বেশি ঝোঁক বলেও জানান তিনি। পরে মেহরাব জুনিয়র ক্যাটাগরিতে দশম স্থান অর্জন করে। সে স্মৃতিসৌধ এঁকেছিল।

প্রথম আলো আনন্দমেলায় ছিল বায়োস্কোপ প্রদর্শনী

সম্পর্কিত নিবন্ধ