২ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত
Published: 27th, August 2025 GMT
সম্পূরক বৃত্তি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নীতিমালা এবং সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দুই দফা দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় জবি শিক্ষার্থীদের।
আরো পড়ুন:
৩ দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
কুবিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনা
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসন জকসু নীতিমালা সিন্ডিকেটে অনুমোদন দিলেও নির্বাচন সংক্রান্ত আইন, তফসিল এবং স্পষ্ট রোডম্যাপ এখনো প্রকাশ করেনি। পাশাপাশি সম্পূরক বৃত্তি প্রসঙ্গেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা মেলেনি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।
এদিন শাখা ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশ এবং ইসলামিক ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমরা আমাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। আবার জকসু নিয়েও তারা সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন গতকাল সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা অনুমোদন করেছে। কিন্তু আইন, তফসিল ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। সম্পূরক বৃত্তির ব্যাপারেও তারা চুপ রয়েছে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জবি শাখার সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন আন্দোলন করার পরও আমাদের কোনো দাবি পূরণ হয়নি। এমনকি কবে হবে তারও নিশ্চয়তা নেই। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’