কলকাতায় পোড়ানো হলো ড. ইউনূসের কুশপুতুল
Published: 18th, September 2025 GMT
‘দুর্গাপূজার সময় গাঁজা ও মদের আসর বসানো যাবে না’- সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্ত্বরে বিক্ষোভ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ (অভিবাসী) কমিউনিটি ইন ইন্ডিয়া’ এর কলকাতার সদস্যরা এই বিক্ষোভ করেছে।
বৃহস্পতিবার মিশনের কাছেই বেকবাগান মোড়ে হাতে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সদস্যরা। সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড.
বাংলাদেশ (অভিবাসী) কমিউনিটি ইন ইন্ডিয়া এর কলকাতার সদস্যদের বক্তব্য, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য কোনো ব্যক্তিগত মন্তব্য নয়, বরং ড. ইউনূস ও তার উপদেষ্টাদের সুপরিকল্পিত নীতি, যার লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে সনাতনীদের ধাপে ধাপে বিতাড়ন।
সবশেষে সংগঠনের পাঁচজন সদস্য উপহাইকমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাদের দাবি, 'অবিলম্বে এই সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং বাংলাদেশের সরকারকে সংখ্যালঘুদের জীবন, সম্মান ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভারত সরকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলির কাছে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তারা।
প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, “পূজা উপলক্ষে আশপাশে যে মেলা বসে সেখানে মদ ও গাঁজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে না। গাঁজা ও মদের আসর বসানো যাবে না।”
সুচরিতা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপদ ষ ট কলক ত ইউন স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।