বন্দরে পুলিশের সহায়তায় হারিয়ে যাওয়া শিশু ফিরে পেলো তার বাবা-মাকে
Published: 19th, September 2025 GMT
বন্দর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে হারিয়ে যাওয়া ১০ বছর বয়সী শিশু আওয়ালকে ফিরে পেয়েছেন তার বাবা- মা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন মা নুরজাহান ।
উদ্ধার হওয়া শিশু আউয়াল মিয়া ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার সদর থানার মজলিপুর ইউনিয়ন দারমা গ্রামের সাহাত মিয়ার ছেলে ।
শিশুটির মা নুর জাহান জানান,গত বুধবার সকালে তার ছেলে আউয়াল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। দুই দিন যাবৎ শিশু আউয়ালকে দেখতে না পেয়ে চরম হতাশ হয়ে পড়েন তারা। চারিদিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
পরে দুইদিন পর ব্রাম্মনবাড়িয়া গ্রাম পুলিশ ও থানার কর্তৃপক্ষের কাছে নিখোজ ছেলের সন্ধান পেয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশের এস আই মনির হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১০ বছরের শিশু ছেলে সন্তানকে ফিরে পান।
বন্দর থানা এসআই মনির হোসেন,দুইদিন পূর্বে নিখোজ হয় ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার দারমা গ্রামের ১০ বছরের শিশু আউয়াল। বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার স্থানীয় জনতা শিশু আউয়ালে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখে পরিচয় জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বন্দর থানা ওসি স্যারকে ফোন দেয়।
নবীগঞ্জে গিয়ে শিশু আউয়ালকে থানায় নিয়ে এসে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করি। পরে তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে ব্রাম্মনবাড়িয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া শিশুটিকে তার পিতা- মাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আউয় ল
এছাড়াও পড়ুন:
পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে কাফনের কাপড় জড়িয়ে আমরণ অনশনে এক শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মাথা ও শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আসাদুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অনশনের সময় তাঁর পেছনে রাখা ব্যানারে লেখা ছিল—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা নামক বিষফোঁড়া পুনর্বহাল রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন ধর্মঘট’।
আসাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোষ্য কোটা নামক বিষফোঁড়া মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এটাকে নির্মূল করার জন্যই আমার এ কর্মসূচি। জুলাই আন্দোলনে যে কোটার বিরুদ্ধে এত রক্তপাত, এত মৃত্যু, স্বৈরশাসকের পতন হলো, সেই কোটা আবার ফিরেছে। আমি কোটার পক্ষে নই। যদি কোটা দেওয়া হয়, সেটা কৃষক-শ্রমিক-মজুরের সন্তানদের দেওয়া হোক। এই কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার অনশন চলবে। আমি কোনো খাবার-পানি খাব না। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ আসেনি। রাতে এখানেই অবস্থান করব।’
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু। এটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক একটি কোটা। তাঁরা প্রয়োজনে রক্ত দেবেন, তবু ক্যাম্পাসে এ কোটা ফিরতে দেবেন না। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন ঘিরে যখন ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তখন এ সিদ্ধান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে তাঁরা জানান।
কোটা পুনর্বহালের বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত ২১ সেপ্টেম্বরের রাকসু নির্বাচনে শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব পড়ার শঙ্কা ছিল। এ জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের ভর্তি উপকমিটি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যা চান, সেটাই হবে। কারণ, তাঁরা শান্তিপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় চান।