এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস। এর মধ্যে রংপুরের ছয় ম্যাচই বেশি আলোচনায়; কারণ, বাংলাদেশের দ্রুততম বোলার নাহিদ রানা খেলেন এই দলে এবং খেলেছেন প্রথম ছয় ম্যাচেই।

ভয়টা রানা বলেই বেশি। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারা দেশের একমাত্র পেসার। তাঁর গতি একটু কমে গেলে শঙ্কা তো আসবেই। অতি বোলিংয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন না তো তিনি!

বিপিএলে রংপুরের সর্বশেষ দুই ম্যাচে তাঁকে ১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশেই বেশি বোলিং করতে দেখে প্রশ্ন উঠছে—নাহিদ রানার বিশ্রাম প্রয়োজন কি না!

তবে রংপুর রাইডার্স কোচ মিকি আর্থার এখনই সে প্রয়োজন দেখছেন না। সিলেটে আজ সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখব তার কী অবস্থা। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া ও খেলানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। বেশি বল করানো বা কম বল করানোর মধ্যেও আছে। মাত্র ২৪টা বল করতে হয় ম্যাচে, আমরা দেখব এটা সে কীভাবে করে। তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পেলে আমরা তা দেব।’

এখন পর্যন্ত দুবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন নাহিদ রানা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ