ছেলেবেলার একটা শিক্ষা আজও মনে গেঁথে আছে।

বয়স তখন সম্ভবত ১২। মাছ ধরতে খুব ভালোবাসতাম। আর ভালোবাসতাম সাগর। যেহেতু ম্যালোর্কায় বড় হয়েছি, সাগর আসলে জীবনের অংশ ছিল। সাগরপাড়ের বড় বড় পাথরের ওপর পরিবারের সদস‍্য কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বসে থেকে, নৌকায় ঘুরে বেরিয়ে একটা অদ্ভুত শান্তি লাগত। মনে হতো সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি।

একদিন প্রশিক্ষণ বাদ দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছি। যা হওয়ার তা-ই হলো, পরদিন ম‍্যাচে হার। মনে আছে, গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময় কাঁদছিলাম। পাশেই ছিলেন এক চাচা। আমার ওপর সব সময় তাঁর বেশ প্রভাব ছিল। তাঁর মাধ‍্যমেই টেনিসের প্রতি ভালোবাসা। তিনি বলছিলেন, ‘আরে বোকা, কিচ্ছু হয়নি। এটা তো স্রেফ একটা ম‍্যাচ। এখন কেঁদে লাভ হবে? যদি মাছ ধরতে চাও, ধরো। কোনো সমস‍্যা নেই। কিন্তু যদি জিততে চাও, তাহলে সেটাই তোমার করতে হবে, যা করা উচিত।’ এই শিক্ষাটা আমার জন‍্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজও প্রায়ই কথাটা কানে বাজে।

খেলাধুলার ক্ষেত্রে ছোটবেলায় আমার সামনে কোনো আইডল ছিল না। ম‍্যালোর্কানদের চরিত্রই আসলে এমন। আশপাশে যাঁদের দেখতাম, আমার কাছে তাঁরাই ছিল নায়ক। কিন্তু ১২ বছর বয়সে প্রথম কার্লোস ময়ার সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়। তিনিও ম‍্যালোর্কারই বাসিন্দা। ফ্রেঞ্চ ওপেনে সে চ‍্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। প্রথম স্প‍্যানিশ খেলোয়াড় হিসেবে ১ নম্বরে উঠে আসার কৃতিত্বও তাঁর। তাঁর সঙ্গে খেলতে পারাটা একটা অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। আমার জন‍্য তিনি ছিলেন বাইরের পৃথিবীটা দেখার একটা জানালা। তাঁর সঙ্গে খেলার পরই টেনিসটা ‘মজার খেলা’ থেকে জীবিকা বা জীবনের লক্ষ‍্য হয়ে ওঠে। টেনিস নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।

আরও পড়ুনসবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে, এমন জীবনই তো বেছে নিয়েছি২৪ নভেম্বর ২০২৪ব‍্যথা আদতে সবচেয়ে বড় শিক্ষক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের
  • ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কেড়ে নিল তরুণ ইরানি কবি আর তাঁর পুরো পরিবারকে
  • চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান