Prothomalo:
2025-06-15@22:48:37 GMT

২০২৫ সালের ১০ ফেলোশিপের খোঁজ

Published: 12th, January 2025 GMT

১. হামফ্রে ফেলোশিপ, যুক্তরাষ্ট্র

উচ্চশিক্ষার জন্য হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম ফুলব্রাইট কর্মসূচি। এটি ৯ মাসের কার্যক্রম। সরকারি, বেসরকারি নানা খাতের তরুণ পেশাজীবীরা এই ফেলোশিপের সুযোগ নিতে পারবেন।

আবেদনের সময়: এপ্রিল- জুন।

সুযোগ-সুবিধা: দেওয়া হয় নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ টিউশন ফি। প্রয়োজনে প্রদান করা হয় প্রাক্‌-একাডেমিক ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ। মেলে জীবনযাপনের ব্যয় ভাতা।

যোগ্যতা: আবেদনকারীকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। আবেদনের সময় ও বাছাইপ্রক্রিয়া চলাকালে বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে। আবেদনের সময় পাসপোর্ট থাকতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্যপর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে। জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা থাকতে হবে। পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে।

বিস্তারিত এখানে।

২.

প্রোফেশনাল এক্সচেঞ্জ ফেলোশিপ, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের জন্য ফেলোশিপ। এই ফেলোশিপের মাধ্যমে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। যাঁরা বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোক্তা হচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই ফেলোশিপ ভীষণ কার্যকর হতে পারে।

আবেদনের সময়: এপ্রিল-মে।

সুযোগ-সুবিধা: যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমায় চার সপ্তাহের জন্য পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ মিলবে।

যোগ্যতা: ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী ক্ষুদ্র বা মাঝারি ব্যবসার প্রতিষ্ঠাতা, উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতারা আবেদন করতে পারবেন। দেশে স্টার্টআপ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উদ্যোগ-সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত থাকতে হবে। দেশের নানা প্রান্তে যাঁরা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা বা উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং কাজের অভিজ্ঞতা আছে, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা ও কম্পিউটার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৩. সিইই প্রোগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র

পরিবর্তন আনতে চাওয়া তরুণ অধিকারকর্মী, উদ্ভাবক ও নেতাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে এই কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এক্সচেঞ্জ (সিইই)। এ প্রোগ্রামে অর্থায়ন করে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। নেতৃত্ব বিকাশের এ কার্যক্রমটি এক বছর মেয়াদি। নেটওয়ার্ক, সম্পর্ক এবং জনকল্যাণে তথ্য ব্যবহারের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একুশ শতকের বিভিন্ন জরুরি সমস্যা নিরসনে সুশীল সমাজ যেন সক্ষম হয়, সে হিসাবে পরিকল্পনা করা হয়।

আবেদনের সময়: মে-জুলাই।

সুযোগ-সুবিধা: পূর্ণ অর্থায়নে সুশীল সমাজ নিয়ে কাজ করে এমন একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানে তিন মাস হাতে-কলমে শেখার সুযোগ রয়েছে।

যোগ্যতা: ২০ থেকে ২৭ বছর বয়সী তরুণ নেতারা আবেদন করতে পারেন। বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৭ বছর। নিজ দেশে জনসমাজের অংশগ্রহণে পরিচালিত কোনো কমিউনিটি এনগেজমেন্ট প্রজেক্ট (সিইপি) সম্পন্ন করতে দেশে ফেরার অঙ্গীকার থাকতে হবে। ইংরেজি বলা ও লেখার উচ্চসক্ষমতা প্রয়োজন।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৪. কমনওয়েলথ প্রফেশনাল ফেলোশিপ, যুক্তরাজ্য

কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন প্রতিবছর কমনওয়েলথভুক্ত নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য এই ফেলোশিপ প্রদান করে। নির্বাচিত ফেলোদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পেশাগত উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

আবেদনের সময়: জুন-জুলাই।

সুযোগ-সুবিধা: দেওয়া হয় যুক্তরাজ্যে যাওয়া–আসার বিমান টিকিট এবং ভিসা প্রসেসিং ফি। জীবনযাপন খরচের জন্য মাসে মিলবে ২ হাজার ৫৭ ব্রিটিশ পাউন্ড। লন্ডন মেট্রোপলিটন এলাকায় থাকলে ২ হাজার ৫৫৩ ব্রিটিশ পাউন্ড।

যোগ্যতা: প্রার্থীকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের স্থায়ী নাগরিক অথবা শরণার্থী হতে হবে। আবেদনের সময় চাকরিরত অবস্থায় থাকতে হবে, যেন ফেলোশিপ শেষে আগের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে পারেন। থাকতে হবে স্নাতক ডিগ্রি।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৫. চিভনিং ফেলোশিপ, যুক্তরাজ্য

তরুণ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর দেওয়া হয় চিভনিং সাউথ এশিয়া জার্নালিজম ফেলোশিপ। অর্থায়ন করে ইউকে ফরেন অফিস, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস।

আবেদনের সময়: সেপ্টেম্বর-অক্টোবর।

সুযোগ-সুবিধা: ফেলোশিপ চলাকালে দেওয়া হয় জীবনযাপন ব্যয়, যুক্তরাজ্যের যাতায়াতের জন্য ইকোনমিক ক্লাসের বিমান টিকিট।

যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণরাই আবেদন করতে পারবেন। থাকতে হবে কম করেও সাত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা। ফেলোশিপ শেষে দেশে ফিরে আসতে হবে।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৬. হার্ভার্ড রেডক্লিফ ফেলোশিপ, যুক্তরাষ্ট্র

৯ মাসের ফেলোশিপ।

আবেদনের সময়: সেপ্টেম্বর-অক্টোবর।

সুযোগ-সুবিধা: দেওয়া হবে ৭৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। সঙ্গে থাকছে মাসিক স্টাইপেন্ড, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা এবং নিজের গবেষণার খরচসহ অন্য সব সুবিধা।

যোগ্যতা: বিজ্ঞানী, লেখক, সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাঁরা নিয়মিত কাজ করছেন, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৭. ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট স্কলারস প্রোগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে বোঝাপড়াকে আরও গভীর ও প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রমকে জোরদার করতে ছয় সপ্তাহের কার্যক্রম।

আবেদনের সময়: অক্টোবর-নভেম্বর। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া লিংকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

সুযোগ-সুবিধা: চার সপ্তাহ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ। বাকি দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঞ্চলে শিক্ষাসফর।

যোগ্যতা: বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক বিষয়, যেমন জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হবে। ইংরেজিতে সাবলীল হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৫ বছর। আবেদনের সময় স্নাতক অধ্যয়নের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষে থাকতে হবে।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৮. ওবামা ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ, যুক্তরাষ্ট্র

বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও সংকটে নিয়ে কাজ করছেন, এ ধরনের তরুণদের ৯ মাসের এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওবামা ফাউন্ডেশন।

আবেদনের সময়: অক্টোবর-নভেম্বর।

যোগ্যতা: নিজ নিজ ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ অবদান রেখেছেন, এমন তরুণ নেতারা আবেদন করতে পারেন। প্রোগ্রামটি শেষ করার পর নিজ দেশে ফিরে আসতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা ২৬ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

৯. ইয়েস প্রোগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র

৮-১১ গ্রেডে ভালো ফল করা হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি (ইয়েস) প্রোগ্রামে আবেদন করার সুযোগ আছে।

আবেদনের সময়: অক্টোবর-নভেম্বর।

সুযোগ-সুবিধা: এক বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়। ব্যয়ভার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগ বহন করে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া এবং আসার বিমানভাড়া, মার্কিন ভিসা ফি, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা-খাওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন এবং মাসিক ১২৫ ডলারের হাতখরচ অন্তর্ভুক্ত।

যোগ্যতা: বয়স হতে হবে ১৫ থেকে ১৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম, দশম বা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি থাকতে হবে।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

১০. গ্লোবাল ইউগ্রেড প্রোগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ফুল ফ্রি বৃত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পরিচয় ঘটানো, মার্কিন মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি বিনিময় এবং কমিউনিটিভিত্তিক কাজের অভিজ্ঞতা দেওয়াই গ্লোবাল ইউগ্রেড প্রোগ্রামের লক্ষ্য।

আবেদনের সময়: নভেম্বর-ডিসেম্বর।

সুযোগ-সুবিধা: শিক্ষার্থীরা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে এক সেমিস্টারের জন্য পূর্ণ সময় পড়াশোনা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় কমিউনিটিতে সেবামূলক কাজে অংশ নিয়ে নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশি করার সুযোগ পাবেন।

যোগ্যতা: আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৫-এর মধ্যে। নিজ দেশে উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্নাতক পর্যায়ে অন্তত এক সেমিস্টার শেষ করতে হবে। প্রোগ্রাম শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়াও প্রয়োজন।

বিস্তারিত দেখুন এখানে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়

‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’ প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। কফি শফ থেকে বাস, মেট্রোরেল আশপাশে কান পাতলে গানটা শোনা যাচ্ছে। কেউ না কেউ শুনছেন। সামাজিক মাধ্যমের স্টোরি ও রিলসেও গানটি ভেসে বেড়াচ্ছে। চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির আজ পর্যন্ত (১২ এপ্রিল ২০২৫) ভিউ হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

উচ্ছ্বসিত অনেক দর্শক গানটি নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। তাহসিন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘গানটির প্রতিটি সুর, দৃশ্য ও পরিবেশনায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব রূপ ফুটে উঠেছে। যাত্রাপালার ফিল্মের আবহে তৈরি এই গানটি যেন গ্রামীণ বাংলার প্রাণস্পন্দন তুলে ধরেছে। লোকেশন থেকে শুরু করে কস্টিউম, প্রতিটি ডিটেইলে আছে নিখুঁত যত্ন।’

গানটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে খুনসুটিও চলছে। বন্ধুকে মেনশন দিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন করছেন, ‘কী রে, বেড়া ডিঙাতে পারলি?’ আবার কেউ জিজ্ঞেস করছেন বল তো, ‘“লিচুর বাগানে” কেন “পিরিতের বেড়া” দিতে হয়?’

প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। শুরুতেই ‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, ‘কে এই ছত্তার পাগলা’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। গবেষক সরোজ মোস্তফার মতে ‘কে দিল পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে’ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা ও সুরকার ছত্তার পাগলা। তবে সংগীতগবেষক গৌতম কে শুভর মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘এটি মূলত প্রচলিত ঘেটু গান। “কে দিল পিরিতির বেড়া লিচুর বাগানে?” অংশটি মূল গানের অংশ। ছত্তার পাগলা নিজের মতো করে এর সঙ্গে কথা সংযোজন করেছেন। নেত্রকোনায় ছত্তার পাগলার লেখা রূপটিই বিখ্যাত হয়েছে।’ ২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন ছত্তার পাগলা। জীবদ্দশায় রচনা ও সুরারোপ করেছেন কয়েক শ গান। মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে গানটি শুনে হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।

আল মামুন চৌধুরীর লেখা অনুযায়ী গানটির কথা:
কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে
লিচুরও বাগানে গো সই…লিচুরও বাগানে …(ঐ)
পাখি খাইছ না লিচু, বন্দে খাইবো
বন্দে লিচু খাইয়া, খুশি হইবো
আমার কাছে আইসা কইবো
কত শান্তি দিবো আমার মনেপ্রাণে (ঐ)
ছোট ছোট লিচুগুলি, বন্দে তুলে আম্বো তুলি
বন্দে দেয় গো আমার মুখে,
আমি দিতে চাই বন্ধুর মুখের পানে…(ঐ)
মিষ্টি লিচু খাইয়া বন্দে, বাঁশি বাজায় মন আনন্দে
আমার মনে লাগে সন্দে বন্ধু সম্ভব জাদু জানে (ঐ)
বাঁশি হাতে পলায় মালা, তারে চায় ছত্তার পাগলা,
করব লইয়া উলামেলা, (২) প্রাণবন্ধুর সনে…(ঐ)

সরল অর্থে ‘বেড়া’ হচ্ছে  প্রতিবন্ধকতা তথা বাধা তৈরির উপকরণ। আর ‘পিরিতের বেড়া’ মানে ভালোবাসায় বাধা। কিন্তু ভালোবাসার এই বাধা তথা প্রতিবন্ধকতা ‘লিচুর বাগানে’ কেন? কবিতা তথা গানে অর্থের তারতম্য অর্থের অনুগত না হয়ে বোধ কিংবা ভাবনার পরবশে প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ লাভ করে, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পায়।

আরও পড়ুন‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, কে এই ছত্তার পাগলা ০৬ জুন ২০২৫

‘কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে’ একটি ‘ঘাটু গান’ বা ‘ঘেটু গান’। এই গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এই গানের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল নৃত্য। অল্প বয়সী একটি ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে তার নৃত্যের মধ্য দিয়ে ঘেটু গান পরিবেশিত হতো। সঙ্গে থাকত ঢোল, হারমোনিয়াম, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। কয়েকটি ‘ঘেটু গানে’র দৃষ্টান্ত দেখা যাক।
(১)
‘তুই আমারে চিনলে নারে
আমি তো রসের কমলা।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি
মধ্যে নলের বেড়া।’
(২)
ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু
পান খাইলায়না
এক বালিশে দুইটি মাথা
সুন্দর কইরা কওরে কথা।
গানগুলো থেকে উপলব্ধি করতে কষ্ট হয় না যে ‘ঘেটু গানে’ যেমন ভাষার সারল্য আছে, তেমনিভাবে রূপকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যাপিত জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা নানা উপকরণ। আর এ ক্ষেত্রে গান রচনার সময় রচয়িতা তাঁর আশপাশ থেকেই গান নির্মাণের উপকরণগুলো যে নিয়ে থাকবেন, সেই ধারণাও পাওয়া যায়। ‘লিচুর বাগানে’ গানের ক্ষেত্রেও বোধ করি এটা ঘটেছে। তাই এই গানে যেমন ‘লিচু বাগানে’র কথা আছে, একইভাবে আছে ‘পাখি’, ‘বাঁশি’ ও ‘লিচু’র কথাও। পাখিকে লিচু না খাওয়ার অনুরোধ করলেও পাখি যেন খেতে না পারে সে কারণেই যে বেড়া দেওয়া হয়েছে; সেই ব্যথাও গানটিতে ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে ‘লিচুর বাগান’ শেষ পর্যন্ত ‘লিচুর বাগানে’ সীমাবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।

কথায় আছে, ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়। জিতে নেওয়ার মধ্যেই আছে অপার আনন্দ। ভালোবাসায় প্রতিবন্ধকতা থাকাটা মোটেও দোষের নয়। বরং বাধা না থাকাটাই যেন আশ্চর্যের। একইভাবে ভালোবাসা জিতে নেওয়ার পরও পেয়ে গেছি বলে হাল ছেড়ে দিলে চলে না। ‘লিচুর বাগান’কে এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে, ‘লিচুর বাগানে’ ‘পিরিতের বেড়া’ তথা ভালোবাসার বেষ্টনী দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা ‘ভালোবাসা’কে ভালোবাসা দিয়েই আগলে রাখতে হয়। প্রবল যত্নে আঁকড়ে রাখতে হয়। যেন কোনো কৌতূহলেই তা দুলে না ওঠে, হারিয়ে না যায়।

আরও পড়ুনসাবিলা তো ‘লিচুর বাগানে’ দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল...০৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সেরা
  • একঝলক (১৫ জুন ২০২৫)
  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ জুন ২০২৫)
  • অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আরও যাঁরা পেয়েছেন ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন পুরস্কার ২০২৫’
  • সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ 
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ জুন ২০২৫)
  • মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স, ক্লাস শুক্র ও শনিবার
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৩ জুন ২০২৫)