‘সোল ম্যান’, ‘হোল্ড অন, আই অ্যাম কামিং’–এর মতো জনপ্রিয় গানের শিল্পী স্যাম মুর মারা গেছেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কোরাল গ্যাবলসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্যাম মুরের বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। খবর বিলবোর্ডের

ষাটের দশকে আরেক গায়ক ডেভের সঙ্গে গাইতেন স্যাম। সংগীতাঙ্গনে তাঁরা ‘স্যাম অ্যান্ড ডেভ’ নামে পরিচিত ছিলেন। ‘সোল ম্যান’সহ বহু জনপ্রিয় গান সৃষ্টি করেছেন তাঁরা। ৩৭ বছর আগে ডেভের মৃত্যুতে জুটি ভেঙে যায়, স্যামের মৃত্যুতে দুজনের আর কেউই রইলেন না।

স্যামের প্রচার প্রতিনিধি জেরেমি ওয়েস্টবি সাংবাদিকদের জানান, একটি অস্ত্রোপচারের পর কিছু জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।


১৯৮৮ সালে এক কার দুর্ঘটনায় ডেভের মৃত্যু হয়। ১৯৯২ সালে রক অ্যান্ড রোল হল অব ফ্রেমে জায়গা করে স্যাম ও ডেভ। গানের বাইরে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান বব ডলের জন্য গানও লিখেছিলেন স্যাম।

১৯৩৫ সালে মিয়ামিতে জন্ম স্যামের। চার্চে সংগীত চর্চা করতেন। পরে গানকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। ষাটের দশকে স্যাম ও ডেভ তুমুল জনপ্রিয়তা পান।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক কন্যা ও দুই নাতি রেখে গেছেন স্যাম।

আরও পড়ুন৩২ বছরে চলে গেলেন কোরীয় অভিনেতা পার্ক০৩ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ