মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে শোলার ভেলায় করে পাচারের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবার একটি চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়ার উত্তর-পূর্ব দিকে ডাবল জোড়া নামক এলাকা থেকে মাদকের এ চালানটি জব্দ করা হয়।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান। জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ১২ কোটি টাকা।

বিজিবি সূত্র জানায়, দমদমিয়া সীমান্তচৌকির ডাবল জোড়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদলের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শোলার ভেলায় নাফ নদী পারাপারের সময় দুজন চোরাকারবারি বিজিবির বিশেষ টহলের মুখোমুখি হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা মাদকের বস্তাসহ ভেলাটি ফেলে নাফ নদী সাঁতরে শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের অপর পাশে পালিয়ে যায়। তাদের ফেলে যাওয়া ভেলা থেকে দুটি মাদকভর্তি চটের বস্তা জব্দ করা হয়। বস্তার ভেতরে ২৫টি (বিশেষ উপায়ে মোড়কজাত) প্যাকেট ভর্তি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় সকাল সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। তবে কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য বিজিবি ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশি চার জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফ নদী থেকে চার জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দমদমিয়া সংলগ্ন লাল দ্বীপের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন, আরাফাত উল্লাহ (২১), আনিস উল্লাহ (২২), মো. জাবের (১৪) ও আনোয়ার সাদেক (২৭)। তারা সবাই টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও ড্রামের ভেলা দিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান কয়েকজন জেলে। এসময় মিয়ানমার থেকে আসা আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নৌকাসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময়  কয়েকজন জেলে সাঁতরে তীরে ফিরে আসেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘‘আরাকান আর্মির কারণে নদীতে নামলেই আতঙ্ক কাজ করে। প্রায় সময়ই এমন ঘটনা ঘটে। আজও চারজন জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেলাম।’’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

তারেকুর//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশি চার জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
  • নাফ নদ থেকে চার জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি