ব্যাংক উপশাখায় টাকা না পেয়ে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
Published: 12th, January 2025 GMT
নীলফামারীতে সোনালী ব্যাংকের উত্তরা ইপিজেড উপশাখায় টাকা না পেয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বিভিন্ন ধরনের নথি, কম্পিউটার ও আসবাব পুড়ে গেছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার সংগলশী কাজীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ রানা জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে প্রথমে তাঁকে আঘাত করে। এর মধ্যে দু’জন বেঁধে ফেলে তাঁকে। পরে লকারের চাবি চায়। তবে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ফের তাঁকে মারধর করে। একপর্যায়ে চাবি দিলেও লকারে টাকা না পেয়ে অন্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে জানিয়ে মাসুদ রানা বলেন, কোথাও টাকা না পেয়ে লকার ও কাউন্টারে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোনায়েম বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ভবনের মালিক ফোন দিয়ে তাঁকে বলেন, তাঁর সিকিউরিটি গার্ড রাস্তায় পড়ে আছে। ব্যাংকের ভেতরে আগুন জ্বলছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলেন। পরে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন।
এ কর্মকর্তার ভাষ্য, ব্যাংকের উপশাখায় কোনো টাকা থাকে না। সকালে জেলা থেকে টাকা নিয়ে আসা হয়। ব্যাংকিং শেষে টাকা জমা দিয়ে আসা হয় সন্ধ্যায়।
সদর থানার ওসি এম আর সাইদ বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’