গ্রাহকের চাহিদামতো ইন্টারনেট দিতে পারবে মোবাইল অপারেটররা
Published: 12th, January 2025 GMT
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদের শর্ত শিথিল করল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে অপারেটররা এখন এক ঘণ্টা থেকে আনলিমিটেড মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজ দিতে পারবে। রোববার ডেটা ও ডেটাসংশ্লিষ্ট প্যাকেজ নিয়ে নতুন নির্দেশিকায় এ সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিটিআরসি ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্দেশিকায় মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যা কমিয়ে ৪০টি করেছিল। পাশাপাশি তিন দিন ও ১৫ দিনের প্যাকেজ বাতিল করে শুধু সাত দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজ করার নির্দেশনা দিয়েছিল; যা নিয়ে গ্রাহক ও অপারেটরদের মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল।
নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। সেগুলো হলো নিয়মিত প্যাকেজ, নির্দিষ্ট ক্যাটেগরির গ্রাহকের জন্য বিশেষ প্যাকেজ এবং বাজার যাচাই করতে গবেষণা ও উন্নয়ন প্যাকেজ। নিয়মিত প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন দিন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদের হবে।
গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। এটা ঘণ্টাভিত্তিক এবং ১-৩ দিন মেয়াদি হবে। প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি (মেগাবাইট), এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ তিন জিবি (গিগাবাইট), দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ আট জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।
গ্রাহকদের সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণের জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন প্যাকেজও থাকবে। সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যে কোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনেন, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে। অবশ্য রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা বা মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ দেওয়া যাবে না। অপারেটরদের তিন সপ্তাহ আগে থেকেই পরীক্ষামূলক নতুন নির্দেশিকা অনুসারে প্যাকেজ বিক্রির অনুমতি দিয়েছিল বিটিআরসি।
রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বিটিআরসি প্রকাশিত ডেটা নির্দেশিকাকে আমরা স্বাগত জানাই। ডেটানির্ভর ডিজিটাল সমাজের ক্ষেত্রে এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা ব্যবহারকারী গ্রাহকদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ অনেকটাই প্রশমিত হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?
নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে