সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক নেতা মমতাজের জামিন স্থগিত থাকবে
Published: 13th, January 2025 GMT
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদীর জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। ২০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো.
আদালতে মমতাজ উদ্দিন মেহেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদীকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত সপ্তাহে চেম্বার বিচারপতির আদালত তার জামিন স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন।
গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’